জীবনযাপন ডেস্ক ২৪ মার্চ ২০২৪ , ৩:৩৩:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
জিবের ওপর সাদাটে প্রলেপ পড়তে পারে নানা কারণে। সঠিকভাবে মুখ পরিষ্কার না করা এই প্রলেপ পড়ার অন্যতম কারণ। বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা যখন নিজেদের দেখভালের কাজগুলো ঠিকভাবে করতে পারেন না, তখন প্রায়ই এমনটা দেখা যায়। শুষ্ক মুখ কিংবা দেহ পানিশূন্য হয়ে পড়ার কারণেও জিবে সাদা প্রলেপ পড়ে। কেউ যখন জ্বরে ভোগেন কিংবা কোনো কারণে মুখ দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের কাজ চালাতে বাধ্য হন, তখনো কিন্তু জিবে এমন প্রলেপ পড়ে।
খাবারদাবার ও দাঁতের গড়নের কারণেও কিন্তু জিবে সাদা প্রলেপ পড়ে। এই যেমন যাঁরা সব সময় নরম খাবার খান, তাঁদের জিবের ওপর সাদাটে প্রলেপ পড়ে। ধূমপান ও মদ্যপানের কারণেও এমনটা হতে দেখা যায়। আবার কারও দাঁতের প্রান্ত যদি খুব বেশি ধারালো হয়, কিংবা খুব ধারালো কোনো অনুষঙ্গ যদি দাঁতে ব্যবহার করা হয়, তাহলেও এমন প্রলেপ পড়ে।
ছত্রাকের সংক্রমণ জিবের ওপর প্রলেপের অন্যতম কারণ। কোনো কারণে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা খানিকটা কমে আসে। আবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কেমোথেরাপি, নানান রোগে ব্যবহৃত স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ এবং আরও কিছু ওষুধ খেলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। এসব ওষুধ সেবন করলেও জিবে সাদা প্রলেপ পড়তে পারে।
তা ছাড়া মুখের ভেতরকার প্রদাহ এবং অল্প কিছু ক্ষেত্রে মুখের ক্যানসারের কারণেও জিহ্বায় এমন প্রলেপ পড়ে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্রলেপ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ থাকে না। সাধারণ যত্নেই এ প্রলেপ দূর হয়ে যায়।
করণীয়
মুখ পরিষ্কার করুন সঠিকভাবে। যখন দাঁত পরিষ্কার করবেন, আঙুলের সাহায্যে জিহ্বা পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। জিব সাদাটে হয়ে গেলে যেমন এ নিয়ম মেনে চলতে হবে, তেমনি সুস্থ-স্বাভাবিক সব মানুষেরই এ নিয়ম মেনে চলা উচিত। এমন অভ্যাস গড়ে তুললে এ ধরনের নানান সমস্যা এড়ানোও সম্ভব। জিব পরিষ্কার করার সময় প্রয়োজনে টাং স্ক্র্যাপারের সাহায্য নিন।
কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে
যদি পরিষ্কার করার পরও সাদাটে ভাব দূর না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পরিষ্কার করার পর সাদাটে ভাব চলে যাওয়ার পরও যদি বারবার তা ফিরে আসে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে হবে। এ ছাড়া জিব ব্যথা হলে কিংবা অন্য কোনো পরিবর্তন দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক