দেবহাটা প্রতিনিধিঃ ইব্রাহীম হোসেন ৩০ জুন ২০২৪ , ৭:৩৪:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
দেবহাটার জগন্নাথপুরের মুক্তিযোদ্ধা সহ ৪ পরিবারে ডাকাতির ঘটনায় ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোন আসামী আটক করতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে ডাকাতির পরদিন পুলিশ ও গোয়েন্দা পাহারার মধ্যে বাড়ির বাহিরে লুটকৃত অস্ত্র ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা রীতিমত এলাকায় ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সংঘবদ্ধ ভাবে গত শুক্রবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত নকুল চন্দ্র ঘোষের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ (৬২) বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। বাড়ির লোকজন ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের ২/১ জনকে আংশিক চিনতে পারলেও সনাক্ত করতে পারেনি তারা। তবে ঘটনার দিন রাতে শরৎ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সৌরভ কুমার ঘোষ গভীর রাত পর্যন্ত খেলা দেখছিলেন নিজ ঘরে। এরপর তিনি খেলা দেখে শুয়ে পড়ার কিছুপর পরই ডাকাতরা বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রথমে যোগেষ ঘোষের ঘরে এরপর সুভাষ চন্দ্রের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রধারীরা। বাড়ির লোকদের জিম্মি করে ধারাবাহিক ভাবে তারা একের পর এক ১১টা ঘরে লুট করে তারা। ২ঘন্টা লুটের পর ওই বাড়ি ছাড়ে দস্যুরা।
এদিকে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ জানান, ঘটনার দিন কোন কিছু বোঝার আগে অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে জিম্মি করে বাড়ির সবকিছু লুট করে। চোখের সামনে সবকিছু লুট করতে থাকলেও চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না। প্রায় ২ ঘন্টার মত সময় ধরে তারা আমাদের বাড়িতে ছিল। একটার পর একটা ঘরে লুট করে তারা। আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের অর্জিত স্বর্ণলঙ্কার, নগদ টাকা, মুল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিয়ে চলে গেছে ডাকাতরা। এখন আমাদের পুলিশের তদন্তের উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, ডাকাতি হওয়া মালামালের মধ্যে অস্ত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ঘটনা জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।