নওগাঁ প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২৪ , ৪:৩৫:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
বিলুপ্তির পথে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার হলুদ বিহার। প্রত্নতত্ত্ব কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এখন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে প্রাচীন এই বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ। এতে বিহারের চারদিক ভেঙে পড়ছে। এখন প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে প্রাচীন এ নিদর্শন। বিহারটি রক্ষনাবেক্ষন করার দাবি জানান এলাকার সচেতন মহল।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন নওগাঁর বদলগাছীর হলুদ বিহার। বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের নিভৃতপল্লী হলুদ বিহার গ্রামের এক প্রান্তে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে দ্বীপ আকৃতির এই বিহার। ইতিহাস ও প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন এই দ্বীপ আকৃষ্ট করে ইতিহাস অনুসন্ধানীদের। আসলে এটি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ । সময়ের পরিক্রমায় আর প্রত্নতত্ত্ব কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এখন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। এতে বিহারের চারদিক ভেঙে পড়ছে। প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে প্রাচীন এ নিদর্শন। এটি ছিল একসময় গাছ-গাছড়া ঝাড়-জঙ্গলে পরিপূর্ণ উচু একটি দ্বীপ। নজরে আসলে দ্বীপটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে নেয়া হয়। হলুদ বিহার গ্রামে ছিল অনেকগুলো বিক্ষিপ্ত ঢিঁবি তাতে ছড়িয়ে ছিটিয়েছিল পুরোনো ইট, ভাঙ্গা মৃৎ শিল্পের বিভিন্ন নিদর্শন। এ থেকেই এখানে বৌদ্ধ বসতির প্রমাণ মিলে। ১৯৭৬ খ্রি. এই দ্বীপটি সংরক্ষিত করা হয়।
১৯৮৪ খ্রি. বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রথমবারের মতো খনন কাজ শুরু করে। ১৯৯৩ খ্রি. দ্বিতীয়বার খননকালে দ্বীপের অভ্যন্তরে একটি মন্দির আবিষ্কৃত হয়। এটি খননকালে বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন সামগ্রী যেমন মানুষের মূর্তি সম্বলিত ভাঙা পোড়া মাটির ফলক, পাথর সামগ্রী ও মূর্তির স্তম্ভ মূল অলংকারের ঢালাই ছাচ এবং চুর্ণ যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনিক উদাসীনতা ও সংরক্ষণের অভাবে এই প্রাচীনতম নিদর্শন আজ প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। এলাকাবাসি এই বিহারটির দ্রুত সংস্কার চান।
বিহারটিকে সংরক্ষন করতে ও একে একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টডিয়ান
ফজলুল করিম আরজু।
এ বিহারটি সংরক্ষন করা হলে একদিকে হবে এলাকার উন্নয়ন অন্য দিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে টিকে থাকবে প্রাচিন এই ঐতিহ্যের নিদর্শন।