সারাদেশ

গৌরনদীতে প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ৩ জন কারাগারে

  অনলাইন ডেস্ক ২৭ জুন ২০২৪ , ১২:৫৭:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

গৌরনদীতে প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ৩ জন কারাগারে
গৌরনদীতে প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ৩ জন কারাগারে

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে এক প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আটক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল বুধবার গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে এজাহারভুক্ত আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গৌরনদী বন্দর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গৌরনদী জাতীয় মহিলা সংস্থায় কর্মরত সঞ্জয় কুমার ভদ্র ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা উত্তর কাণ্ডপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন।

মামলার এজাহার ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, গতকাল গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণের আগে মঙ্গলবার রাতে মেয়র প্রার্থী গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম জয়নাল আবেদীনের (মোবাইল প্রতীক) পক্ষে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গৌরনদী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুন্সী ওই তিনজনকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। বিষয়টি জেনে গতকাল ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্র থেকে ওই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় আরেক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাহসিন খানকে ভারপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দিয়ে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়।

এ অভিযোগের বিষয়ে সাইদুর রহমান জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার রাতে নয়টার দিকে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম জয়নাল আবেদীনের পক্ষে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গৌরনদী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুন্সী কিছু লোকজন নিয়ে কেন্দ্রে আসেন এবং তাঁকে টাকার একটি প্যাকেট দেন। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। পরে প্যাকেটটি সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ভদ্র ও দেলোয়ার হোসেন নিয়ে রেখে দেন। তিনি তাঁদের প্যাকেট নিতে নিষেধ করলেও তাঁরা তা নিয়ে রেখে দেন।

ওই প্যাকেটে কত টাকা ছিল তা বলতে রাজি হননি সাইদুর রহমান। পরে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সঞ্জয় কুমার ভদ্র ও দেলোয়ার হোসেন জানান, তাঁরা কোনো টাকা নেননি, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়েছেন।

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক মাজাহারুল ইসলাম বলেন, মামলা হওয়ার পর আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত