ভোলা প্রতিনিধি: ২২ জুন ২০২৪ , ১০:০৯:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
দ্বীপ জেলা ভোলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত পাঁচদিনে ১২টি রাসেলস ভাইপার সাপ (চন্দ্রবোড়া) উদ্ধার করা হয়। আর সাপের উপদ্রবে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে এর মধ্যে ১১টি সাপ মেরে ফেলেছেন। আর একটি সাপ বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর চায়না ইপিজেড বালুর মাঠে একটি, তজুমউদ্দিন উপজেলার।সোনাপুরের ২নম্বর ওয়ার্ড কাচাড়ি বাড়ির সামনে একটি এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের জসিম হাওলাদারের বাড়িতে একটি রাসেলস ভাইপার পাওয়া যায়।
এর আগে বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে তজুমউদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় খেলার মাঠেও এ সাপ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলে।
গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় পাকার মাথা এলাকায় বসত বাড়ির পাশে জালের সঙ্গে পেঁচানো অবস্থায় একটি রাসেলস ভাইপার পাওয়া যায়। একই দিন মঙ্গলবার রাতে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের জালু মাঝির বসতঘর থেকে আরও একটি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত রবিবার (১৬ জুন) লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ এলাকায় একটি বাড়ির শৌচাগার থেকে রাসেলস ভাইপার সাপটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও দ্বীপ জেলা ভোলার একমাত্র বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরা ও সাগর উপকূলবর্তী উপজেলা চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে আরও পাঁচটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে সাপগুলোকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।
যার মধ্যে তজুমউদ্দিন উপজেলায় পাওয়া একটি সাপ বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
এ বিষয়ে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া বা রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এর অসহিষ্ণু ব্যবহার ও লম্বা বহির্গামী বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।