খেলা

সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষে পারল না বাংলাদেশ

  স্পোর্টস ডেস্ক ১১ জুন ২০২৪ , ৯:৪৪:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষে পারল না বাংলাদেশ
সংগৃহিত ছবি

বোলারদের নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে থামিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারল না বাংলাদেশ।

দুই বলে প্রয়োজন ৬ রান। কেশভ মহারাজের ফুল টস লং অন দিয়ে মারলেন মাহমুদউল্লাহ। মনে হচ্ছিল, সীমানা পার হয়ে যাবে বল। কিন্তু না! দড়ির ঠিক আগে লাফিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন এইডেন মারক্রাম। একইসঙ্গে যেন নিশ্চিত করে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জয়। শেষ বলে আরেকটি ফুল টস পেলেন তাসকিন আহমেদ। তিনিও পারলেন না বাউন্ডারি হাঁকাতে। খুব কাছে গিয়ে হারল বাংলাদেশ।

নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২২ হাজার ৬৫৮ জন দর্শকের ৫৮ জনও হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা সমর্থক ছিলেন না, নিউ ইয়র্কসহ অনেক দূর থেকেও খেলা দেখতে আসা বাংলাদেশের সেই সমর্থকরা ফিরে যান পরাজয়ের হতাশাকে সঙ্গী করে।

বাংলাদেশকে ১০৯ রানে থামিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

চার রানে হেরে যাওয়া ম্যাচে এরকম একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবেই। তা হচ্ছেও। সামাজিক মাধ্যমে আম্পায়াদের মুণ্ডুপাত চলছে। সংবাদ সম্মেলনও এ নিয়ে প্রশ্ন হলো। তাওহিদ হৃদয় তো বেশ খোলামেলাভাবেই কাঠগড়ায় তুললেন আম্পায়ারদের। ‘সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল’ সরাসরিই এমনটি বলার পাশাপাশি তার নিজের ‘আম্পায়ার্স কল’ আউট, দুটি ওয়াইড না পাওয়ার দাবিসহ কড়া সমালোচনা করলেন তিনি আম্পায়ারদের। সংবাদ সম্মেলনে এভাবে আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে আপত্তি জানানো সচরাচর দেখা যায় না। দলের প্রতিনিধি হয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন, ধারণা করা যায়, দলের ক্ষোভই ফুটে উঠছে তার কথায়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পূর্ণাঙ্গ ম্যাচে এর চেয়ে কম রান করে জেতার নজির নেই আর। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ১১৯ রান করে নিউ জিল্যান্ডকে এবং চলতি আসরেই ভারত ১১৯ রান করে পাকিস্তানকে হারায়।

বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে এ নিয়ে চারবার ৫ বা তার কম রানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বের আর কোনো দল দুইবারের বেশি গড়তে পারেনি এই কীর্তি।

অথচ রান তাড়ায় ১৫ ওভার শেষেও ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হাতে রেখে ৩০ বলে করতে হতো ৩১ রান। সেখান থেকে পেসারদের দারুণ বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকার অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার পেছনে বড় অবদান পেসার তানজিম হাসানের। ১৮ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পথে প্রোটিয়া টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে না পারা দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ভরসা ছিলেন ডেভিড মিলার। ৩৮ বলে ২৯ রান করা মিলারকে দারুণ এক টপ স্পিনে ১৯তম ওভারে বোল্ড করেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ওই আউটেই প্রোটিয়াদের ইনিংসের মোড় ঘুরেছে মনে করে হেইসম্যান রিশাদের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন নাজমুলের কাছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, সে সর্বশেষ কয়েক সিরিজেই দারুণ বোলিং করেছে। অনুশীলনেও কঠোর পরিশ্রমী। আমরা ১০–১৫ বছর ধরেই লেগ স্পিনারের অভাব বোধ করেছি। আশা করি, সে নিজের ফর্ম ধরে রাখতে পারবে।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত