স্পোর্টস ডেস্ক ১২ আগস্ট ২০২৪ , ৬:১৭:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি সংসদ সদস্য হয়েছেন এমন ক্রিকেটারে কিংবা রাজনীতিবিদের সংখ্যা বিরলই। সেই তালিকারই একজন সাকিব আল হাসান।২০১৮ সালে জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পরও তিনি বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন। এরপর ২০২৪ সালে সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দুই ক্রিকেটারের জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় অনেক সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। ক্রিকেটাররা রাজনীতি করলে অবসরের পর করা উচিত বলে মনে করেন, জাতীয় দলের তারকা নুরুল হাসান সোহান। একদিন পর প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও একই বক্তব্য দিলেন।
প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় দলে খেলার সময়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘রাজনীতির পাশাপাশি কেউ জাতীয় দলে থাকতে পারবে কিনা এটা নিয়ে কাল সোহান বলেছে… সোহান কাল যা বলেছে এটার সঙ্গে আমি একটা বার্তা যোগ করতে চাই, সংস্কার দুই জায়গাতেই হতে হবে। খেলোয়াড়ের জন্যে যেমন.. জাতীয় দলকে সেবা করার সময় তিনি যোগদান করতে পারবেন কি পারবেন না রাজনৈতিক দলে।’
লিপু মনে করেন, কেউ যদি রাজনীতি করতে চায়, ক্রিকেট বোর্ডের উচিত হবে সুনির্দিষ্ট নীতিমাল প্রণয়ন করা, এখানে আসলে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আসা উচিত। সে গাইডলাইনে থাকবে যদি খেলা থাকে, আবার রাজনীতির কর্মকাণ্ডও থাকে, তাহলে ক্রিকেটাররা কোনটাতে গুরুত্ব দেবেন? সেই কারণে আমার মনে হয়, বোর্ডের যদি সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা থাকে, সেটি হলে খেলোয়াড়রা চিন্তা করতে পারবে, রাজনীতিতে যাওয়ার আগে তাদের কী করতে হবে।