স্পোর্টস ডেস্ক ৫ জুলাই ২০২৪ , ১২:৩৫:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে শুক্রবার রাতে ফ্রান্সকে মোকাবেলা করবে পর্তুগাল। এই ম্যাচে দলীয় লড়াই ছাপিয়ে পাদপ্রদীপে থাকার কথা ব্যক্তিগত এক দ্বৈরথ। যেখানে মুখোমুখি হবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। এর আগেও দুজন পরষ্পরকে মোকাবেলা করেছেন।
তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটিই হতে যাচ্ছে দুজনের শেষ লড়াই। হামবুর্গে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় অনুষ্ঠিত হবে কোয়ার্টার ফাইনালের মহারণটি। এই ম্যাচে জয়ী দল উঠে যাবে সেমিফাইনালে। বল মাঠে গড়ানোর আগে একনজরে চোখ বুলানো যাক দুই দলের পরিসংখ্যানে:
ক্লাব ফুটবলে ২০১৭-১৮ মৌসুমে দেখা হয়েছিল রোনালদো ও এমবাপ্পের। চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই লেগে ৫-২ গোলে হারে জেতে। জেতে রোনালদোর রিয়াল। বিদায় নেয় এমবাপ্পের পিএসজি।
ইউরোর গত আসরে দেখা হয়েছল ফ্রান্স ও পর্তুগালের। ম্যাচটা ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন রোনালদো। ম্যাচটা ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকে।
সবশেষ ২০০০ সালে ইউরো জিতেছিল ফ্রান্স। অন্যদিকে পর্তুগাল প্রথম ও শেষবার ট্রফি জেতে ২০১৬ সালে। সেটি ছিল স্বাগতিক ফ্রান্সকে হারিয়ে। জয়ের ব্যবধান ছিল ১-০।
শেষ ষোলোতে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকে (৩-০) জিতেছে পর্তুগাল। অন্যদিকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারায় ফ্রান্স।
চলতি ইউরোতে এমবাপ্পে গোল করেছেন কেবল একটি। সেটিও পেনাল্টি থেকে। রোনালদো গোল পাননি এখন পর্যন্ত। একটি পেনাল্টি মিস করেছেন তিনি। ২০১০ সালে ফিফা বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পেনের কাছে হেরে বিদায় নেয় পর্তুগাল। জাতীয় দলে রোনালদো বড় টুর্নামেন্ট বলতে কেবল ২০১৬ ইউরো জিতেছেন। এমবাপ্পে জিতেছেন ২০১৮ বিশ্বকাপ। পরে উয়েফা নেশনস লিগ ট্রফি জয়ের স্বাদ পান তিনি।
২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাত ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে পর্তুগিজদের জয় একটি। সেটিও ২০১৬ সালের ফাইনালে। ফরাসিদের জয় আছে চারটি। অন্যটি ড্র হয়েছে।
দুই দলের মোট দেখা হয়েছে ২৫ বার। যেখানে পর্তুগালের জয় ছয়টি। ফ্রান্স জিতেছে ১৬টি। বাকি তিন ম্যাচ ড্র হয়েছে।