প্রতিনিধি ১৬ মে ২০২৪ , ১:২৩:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। হজের পাশাপাশি ওমরাহ পালনকেও উৎসাহিত করা হয়েছে ইসলামে।
ওমরাহ শব্দের অর্থ জিয়ারত করা, সাক্ষাৎ করা। আল্লাহর সম্মানিত ঘর বাইতুল্লাহ মসজিদুল হারাম জিয়ারতই মূলত ওমরা। হজের সময় ছাড়া বছরের যেকোনো সময় পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফসহ নির্দিষ্ট কিছু কাজ করাকে ওমরাহ বলা হয়। ওমরাহর অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে।
হজ নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা আবশ্যক হলেও ওমরা পালনের বিশেষ কোনো সময় নেই। তবে হজের নির্ধারিত বিশেষ সময়ে (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন) ওমরা পালন করা বিধেয় নয়। এই পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো দিন যেকোনো সময় ওমরা পালন করা যায়।
ওমরাহ পালনে দুইটি কাজ ফরজ ১. ইহরাম পরিধান করা। ২. পবিত্র কাবাগৃহ তাওয়াফ করা।
ওমরার দুইটি কাজ ওয়াজিব ১. সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে সাতবার সাঈ করা। ২. মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছোট করা।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,“তোমরা অধিক পরিমাণে হজ এবং ওমরাহ করো। কেননা এ দুটো দারিদ্রতা ও গুনাহকে সেভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, কামারের হাপর যেভাবে লোহা থেকে ময়লাকে দূরীভূত করে দেয়” (নাসাঈ-২৬৩০)।