অনলাইন ডেস্ক ৩০ জুলাই ২০২৪ , ১০:০৫:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ হল উহুদ যুদ্ধ। এ যুদ্ধের প্রথম দিকে মুসলমানরা বিজয়ী হলেও শেষ দিকে কিছুটা অসতর্কতার কারণে তারা বাহ্যিকভাবে পরাজিত হয়। অনেক সাহাবী শহীদ হন। তবে এই যুদ্ধ সাহাবাদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। এ যুদ্ধের পর থেকে তারা কখনো নবীর কোনো আদেশকে অবহেলা করেনি।
এই যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল তৃতীয় হিজরির শাওয়াল মাসে। যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল বদর যুদ্ধে মুসলমানদের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর মুশরিকদের প্রতিশোধ পরায়ণ মনোভাবের কারণে।
বদর যুদ্ধে পরাজিত মুশরিক বাহিনী প্রতিশোধের জন্য মদিনায় আক্রমণের প্রস্তুতি নিলো। তিন হাজার সৈন্য নিয়ে তারা মদিনার দিকে রওয়ানা হলো। সৈন্য বাহিনীতে ছিল ৭০০ বর্ম, ২০০ ঘোড়া ও ৩ হাজার উট। যুদ্ধে পুরুষদের উৎসাহ দিতে ১৪জন নারীকেও সঙ্গে নিয়েছিল তারা।
রাসূল সা.-এর কাছে যুদ্ধের বার্তা পৌঁছালো যেভাবে
মহানবী সা.-এর চাচা আব্বাস রা. তখনো মক্কায় অবস্থান করছিলেন মুসলমানদের হয়ে। মুশরিকরা মদিনায় আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে রওয়ানা হওয়ার পর তিনি একজন দ্রুতগামী বার্তাবাহকের মাধ্যমে রাসূল সা. এর খবর পাঠালেন।
বার্তা পেয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি দুজনকে পাঠালেন। তারা এসে খবর দিলেন, মুশরিকদের সন্ত্রাসী বাহিনী মদিনার কাছাকাছি চলে এসেছে প্রায়।
সৈন্য বাহিনী প্রস্তুত করলেন রাসূল সা.
মুশরিক সন্ত্রাসীদের মোকাবিলার জন্য সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে রাসূল সা. ১ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী তৈরি করলেন। তাদের নিয়ে মদিনার বাইরে প্রতিরোধ গড়লেন।