প্রতিনিধি ২ আগস্ট ২০২৪ , ১০:৪২:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
১০ হাজার কোটি (১০০ বিলিয়ন) টাকার সম্পদ ক্ষতির চেয়ে একটি জীবন বেশি মূল্যবান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার নিজস্ব মালিকানাধীন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সালমান বলেন, এ ঘটনায় হয়ত আমাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু ২০০ প্রাণের যে ক্ষতি সেটা কিন্তু আরও বড় ক্ষতি। এই প্রাণ আর ফেরত পাওয়া যাবে না,যাই হোক না কেন। এটা কিন্তু অনেক দুঃখজনক। এই পরিবারগুলো যা হারিয়েছে, যে ক্ষতি সেটা কোনোভাবেই পূরণ করা যাবে না। আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। আমি যেটা বুঝতে পারছি, শিক্ষার্থীরা বিচার চায়। বিচার তো আমরাও চাই।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান,এটা নিয়ে কাজ চলছে। সমস্যা হলো, ওদের মধ্যে ঐক্যটা পাচ্ছি না। প্রধানমন্ত্রী ওদের সঙ্গে দেখা করতে চান। তিনি মনে করেন ওরা উনারই ছেলে-মেয়ে। এখন তো অনেক তথ্য বের হচ্ছে। একটা ইনফরমেশন ব্ল্যাক আউট হয়েছিল। এখন অনেক তথ্য বের হচ্ছে। শিগগিরই ছাত্র ও জনগণ তা বুঝতে পারবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকেও যদি কোনো ভুল হয় সেটা শোধরানোর কাজ হবে। আমি বলব, রাস্তায় না থেকে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান আসুক।
সহিংসতার বিষয়ে আগাম তথ্য না থাকাকে গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলা হবে কিনা জানতে চাইলে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘যখন এ ধরনের পরিকল্পনা হয় বা ষড়যন্ত্র হয়, এটা কিন্তু গোপনে হয়। যতোই আমার গোয়েন্দা সংস্থা থাকুক। আমরা তদন্ত করছি, কারা করেছে। তবে এর পেছনে অনেক শক্ত হাত আছে।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে দেরি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান বলেন, ‘আমি এটাতে একমত তবে আমি এটাকে বিলম্ব করব না। তবে যদি জানতাম এ ধরনের পরিকল্পনা আছে, তাহলে অন্যভাবে এটা হ্যান্ডেল করতাম। ছাত্রদের দাবি যেটা ছিল, তারা কিন্তু সংস্কার চেয়েছে। বাতিল নয়। আমাদের সমস্যা হলো এটা ছিল বিচারাধীন। এখন যদি কমিশনও করা হয় সেটা আদালত অবমাননা হয়। যদি আমরা বুঝতাম, তাহলে অন্য কিছু….। আমি বলব না, আমাদের ভুল হয়নি। কিন্তু বিষয়টা এতো ফাস্ট মুভিং হয়েছে। কল্পনাই করতে পারি নাই। এটা যে সরকার পতনের আন্দোলন হবে এটা ভাবিই নেই।’
৬ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, যখন তারা কথা বলছিলেন। আইনমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন, তখন তাদের কয়েকজন ভাবছিলেন হেফাজত দরকার। তারা অবশ্য এখন বলছেন যে এটা বলেনি। আমার কাছে এখন এটার গুরুত্বও নেই। তারা এখন তাদের পরিবারের কাছে আছেন। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, সামনে যে চ্যালেঞ্জ এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’