মতামত

ফুলবাড়িয়ায় নদীর পানি নিষ্কাষণ চাষাবাদে ভূমিকা রাখবে -আব্দুল মালেক এমপি

  মোঃহেলাল উদ্দিন উজ্জ্বল ১১ মে ২০২৪ , ১০:৩৮:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ফুলবাড়িয়ায় নদীর পানি নিষ্কাষণ চাষাবাদে ভূমিকা রাখবে -আব্দুল মালেক এমপি
ফুলবাড়িয়ায় নদীর পানি নিষ্কাষণ চাষাবাদে ভূমিকা রাখবে -আব্দুল মালেক এমপি

ফুলবাড়িয়ায় আয়মন-আখালিয়া নদীটির পানি নিষ্কাষণের চাষাবাদে ভূমিকা রাখবে -আলহাজ্ব আব্দুল মালেক সরকার এমপি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলাধীন আয়মন-আখালিয়া নদীর ২৩ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজের শুভ উদ্ভোধন করেন প্রধান অতিথি ১৫১ ময়মনসিংহ -৬ ফুলবাড়িয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মালেক সরকার। তিনি বলেন ফুলবাড়িয়ায় আয়মন-আখালিয়া নদীটির পানি নিষ্কাষণের চাষাবাদে ভূমিকা রাখবে।স্বাভাবিকতা ধীরে ধীরে নদীটি নাব্যতা হারিয়ে গেছে এবং মৃত নদীতে পরিনত হয়েছে। আয়মন-আখালিয়া নদীটির পানি নিষ্কাষণের চাষাবাদের নিমিত্তে নদীটি একমাত্র অবলম্বন। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পানি নিষ্কাষণ অটোট রাখা ও জীব বৈচিত্র রক্ষার স্বার্থে আয়মন আখালিয়া নদীটি স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও নদীকে দখলমুক্ত করে পুনঃখনন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

শনিবার (১১ মে)  সকালে রাধাকানাই ইউনিয়ন এর রঘুনাথপুর বাজারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ময়মনসিংহ এর বাস্তবায়নে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড,উপ-বিভাগ (বাপাউবো) ময়মনসিংহের এস এম আবিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আখলাক উল জামিল। তিনি বলেন ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ আয়মন-আখালিয়া নদীটি জামালপুর সদর উপজেলা থেকে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবেশ করে ১৯ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে খিরু নদীতে মিলিত হয়েছে। নদীটি ফুলবাড়িয়া উপজেলাধীন ২৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। নদীটি মুক্তাগাছা পৌরসভার অধিকাংশ স্থান অবৈধ দখলকরীদের দ্বারা দখল হয়ে ঘর-বাড়ী, বাজার নির্মাণ করে করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মালেক সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পাশ হয়। প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড,ময়মনসিংহের অধীন বাস্তবায়ন করা হয়। 

আয়মন-আখালিয়া নদীটি মানুষের আশা- আকাঙ্ক্ষার একটি নদী। দীর্ঘদিনে স্বপ্ন পানি নিষ্কাষণ ও এলাকাবাসীর কৃষকের চাষাবাদের জন্য ব্যাপক উপকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুল মালেক সরকার আরও বলেন,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে আগামী ৫ বছরে ফুলবাড়িয়া উপজেলায় কোন কাজ বাকী থাকবে না। আপনারা দেখছেন ২ টা অধিবেশনে ৩টা বড় কাজ পেয়েছি। জামালপুর হইতে বগার বাজার একটা হাইওয়ে রাস্তা, ময়মনসিংহ বাইপাস হইতে গাড়োর বাজার, ত্রিশাল বৈলর হইতে রাধাকাই ইউনিয়ন দিয়ে ফুলবাড়িয়ায় একটা রাস্তা কাজ শুরু হয়েছে। আজ ২৩ কিলোমিটার নদীর পুনঃখনন কাজ শুরু হইছে। আগামী ৫ বছরে ফুলবাড়িয়া কোন কাজ বাকী থাকবে না ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমার ভাই,আপনারা বন্ধু, আপনারা আমার চাচা,মা- বোন পাশে থাকলে আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার মাধ্যমে ফুলবাড়িয়াকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে উপহার দিব। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন সার্কেল (বাপাউবো) ময়মনসিংহের মুহাম্মদ শাহীনুজ্জামান সরকার,সহকারী কমিশনার ভুমি সেলিনা আক্তার সহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমানবর্গ। 

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত