জাতীয়

ঝিনাইগাতীতে বিএনপি নেতার উল্টো মামলায় জামিনে এসেও পালিয়ে বেড়াচ্ছে আসামিরা

  শেরপুর প্রতিনিধিঃ আনিছ আহমেদ ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭:৪৬:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি নেতার উল্টো মামলায় জামিনে এসেও বাড়িতে থাকতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক দরিদ্র পরিবার। ওই বিএনপি নেতা নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পিয়ার আলী। জানা গেছে, পিয়ার আলীর বোন সেলিনা আক্তারের ব্যবসায়ী বাড়ির পাশে বসবাস করেন মিন্টু মিয়া নামে এক হোটেল শ্রমিক। মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম একজন গার্মেন্টস কর্মী। তারা স্বামী- চাকরি করে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে উক্ত জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। ১ ছেলেও ১ মেয়েসহ ৪ সদস্যদের পরিবার মিন্টু মিয়ার। কিন্তু ওই জমির প্রতি লোভ জাগে মিন্টু মিয়ার প্রতিবেশি প্রভাবশালী বিএনপি নেতা পিয়ার আলীর বোন সেলিনা আক্তারের । উক্ত জমি ক্রয় করার জন্য মিন্টু মিয়াকে প্রস্তাবও দিয়েছিলেন সেলিনা আক্তার। কিন্তু মিন্টু মিয়া রাজি হননি। অভিযোগে প্রকাশ, এর পর থেকে হোটেল মিন্টু মিয়াকে তার বসতবাড়ি উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে পিয়ার আলীর বোন সেলিনা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন বেশ কিছু দিন ধরে মিন্টু মিয়ার সাথে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার সকালে মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাড়ির সামনে রাস্তায় বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন । এসময় সেলিনা আক্তারের মেয়ে জামাই মোস্তাফিজুর রহমান ফাতেমা বেগমকে উত্ত্যক্ত করেন। ফাতেমা বেগম এঘটনার প্রতিবাদ করলে বিএনপি নেতা পিয়ার আলীসহ তার লোকজন ফাতেমা বেগমেকে বেধড়ক মারধর করে। ফাতেমা বেগমের স্বামী মিন্টু মিয়া ও আশপাশের লোকজন ফিরাতে এলে তাদেরকেও মারধড় করে। সংঘর্ষে গুরুতরভাবে আহত হন ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী মিন্টু মিয়া। অপরদিকে আহত হন শেলিনা আক্তারের মেয়ে জামাই মোস্তাফিজুর রহমান। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সেলিনা আক্তারের ডাকে সাড়া দিয়ে তাৎখনিক ঘটনাস্থলে আসে। শুধু পুলিশই নয়। প্রভাবশালী বিএনপি নেতা পিয়ার আলীর বোন সেলিনা আক্তারের ডাকে চলে , আসেন সেনাবাহীনি। সেনাবাহিনী মিন্টু মিয়ার চাচাতো বোন জেসমিন(২০) নামে এক গৃহবধূ আটক করে থানা পুলিশে হস্তান্তর করে। এব্যাপারে পিয়ার আলীর বোন সেলিনা আক্তার বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করেন মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার বিষয়ে ফাতেমা বেগমের অভিযোগের বিষয়ে মামলা না হয়ে উল্টো মামলা হয় সেলিনা আক্তারেরটি। মামলা দায়ের করার পর থেকেই অপর ৩ আসামিকে গ্রেফতারের জন্যে ডেফলাই গ্রামে চলে বিরতিহীন পুলিশি অভিযান। এক পর্যায়ে উক্ত মামলার আসামি মিন্টু মিয়ার চাচা দিনমজুর ইউসুব আলী,চাচি শিউলি বেগম ৯ ডিসেম্বর আদালত থেকে জামিনে আসেন। কিন্তু জামিনে আসার পরেও বিএনপি নেতা পিয়ার আলীও তার লোকজনের ভয়-ভীতি ও হুমকির মুখে ইউসুফ আলী বাড়িতে থাকতে না পেরে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অপরদিকে ফাতেমা বেগমের দেয়া অভিযোগটি আজ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এছাড়া পুলিশী গ্রেফতার এরাতে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হোটেল শ্রমিক মিন্টু মিয়াও। বর্তমানে মিন্টু মিয়ার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান। এব্যাপারে বিএনপি নেতা পিয়ার আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিন বলেন ফাতেমা বেগমের অভিযোগ পাওয়া গেছে, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত