মোঃ হেলাল উদ্দিন উজ্জল ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮:৪৭:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ডের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে গোলচত্ত¡র থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে র্যালিটি পৌর সদরের ব্যস্ততম সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলচত্ত¡রে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক আখতারুল আলম ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী হিরা, এমদাদুল হক, মাহতাব উদ্দিন, বাবু বিপুল হোঁড় প্রমূখ। এসময় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ সহ বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে পাক হানাদারবাহিনীর সঙ্গে বাংলার দামাল ছেলেদের ৭২ ঘন্টা বিরতিহীন যুদ্ধ হয়েছিল। পাক সেনারা কৃষি অফিসের একটি ছাদের উপর মেশিনগান সেট করে বৃষ্টিরমতো গুলি ছুড়ে মানুষ হত্যা করেছিল। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বেশ কয়েকটি গ্রাম। পাকবাহিনীর ক্যাম্পে ধরে আনা সাধারন মানুষকে বানার নদীর ব্রিজের উপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ ফেলে দিত নদীতে। প্রতিদিন শত শত স্বাধীনতাকামী বাঙালির রক্তে লাল হতো বানার নদীর পানি। স্বজনদের আর্তনাদ ও আহাজারির সাথে লাশগুলো ভেসে যেতো ভাটির দিকে।
এছাড়াও উপজেলা লক্ষীপুর বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক সেনাদের সম্মুখ যুদ্ধে ৬৭ জন পাক সেনা নিহত হয়। এ খবরে ময়মনসিংহ জেলা থেকে কয়েকশত পাক সেনা এসে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং ছাত্রসহ ৪ জনকে ধরে লক্ষীপুর বাজারে প্রকাশ্যে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। পরে এলাকাবাসী লক্ষীপুর বাজার সংলগ্ন পুকুর পাড়ে একটি কবরেই লাশগুলো দাফন করে। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া হানাদারমুক্ত হয়েছিল।