রাজনীতি

শেরপুরে শ্রমিদলের কমিটি নিয়ে দন্দ্বের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১০

  আনিছ আহমেদ ১ নভেম্বর ২০২৪ , ৮:০৫:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে এক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।

( ৩১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের মেইন সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় শ্রমিক দলের বর্তমান আহবায়ক কমিটির এক নেতার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, শেরপুর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শওকত আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জুন স্বাক্ষরিত উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন।

সেলিম আহমেদ জীবনকে আহবায়ক ও অনিক সরকারকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে সিনিয়র নেতাদের সম্মানজনক স্থানে রাখা হয়নি। এ অভিযোগ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মোল্লা সহ দলের সিনিয়র নেতাদের।

এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিক দলের পদবঞ্চিত সিনিয়র নেতাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে শেরপুর জেলা কমিটির দেয়া আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে একটি আনন্দ মিছিল বের হয় ।

এ সময় উপজেলা শ্রমিক দলের পদ বঞ্চিত সিনিয়ার নেতারা উক্ত মিছিলে হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

এ সময় পদবঞ্চিত উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুর ইসলামের একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। আহতদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রহিমকে প্রথমে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর চলে যায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক দলের কমিটিতে পদ বঞ্চিত সিনিয়র নেতাকর্মিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকালে এমদাদুল হক মোল্লার নেতৃত্বে শ্রমিকদলের শতাধিক নেতাকর্মি ঝাড়ু মিছিল করে।এসময় এমদাদুল হক ও সিনিয়র নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন শ্রমিক দলের শেরপুর জেলা কমিটির সভাপতি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটি দিয়েছেন।

তিনিসহ উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র নেতারা এ কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি না দেওয়া হলে তারা বিভিন্ন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান। এ বিষয়ে শেরপুর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শওকত আহমেদ বলেন পদ বঞ্চিত হলেই দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ধরনের অভিযোগ আনা হয়।

থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে জ্বলন্ত মোটরসাইকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিন বলেন পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত