অপরাধ

২৩ বছর পর ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২৪ , ২:০৮:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

২৩ বছর পর ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
২৩ বছর পর ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ শাহজাহান’কে দীর্ঘ ২৩ বছর পর হালিশহর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার মামলা নং-২০(১১)২০০০, জিআর নং-১২৩৩/২০০০, ধারা-১৮৭৮ সালের The Arms Act এর 19-A এবং 19(f) ধারায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ শাহজাহান চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন বড়পোলস্থ কোয়েস্ট মেডিকেল সার্ভিস এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ০৫ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ০৫৩০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ শাহজাহান (৫০), পিতা- মৃত মুর্শিদের রহমান, সাং- বিরবিরি, থানা-হাতিয়া, জেলা-নোয়াখালী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় সে সূত্রে বর্ণিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে বর্ণিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত