অপরাধ

শেরপুরে কীটনাশক ব্যসায়ীর ভুলে  বেগুন চাষির মাথায় হাত।  

  শেরপুর প্রতিনিধি: আনিছ আহমেদ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৯:১৪:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ


শেরপুরে কীটনাশক ব্যবসায়ীর ভূলে আবুল হোসেন নামে এক কৃষকের বেগুন খেতের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আবুল হোসেন শেরপুর সদর উপজেলার বলাইরচর কান্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। 

কৃষক আবুল হোসেন জানান গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় কিটনাশক ব্যবসায়ী মঞ্জু মিয়ার দোকান থেকে বেগুন খেতের পোকা দমনে কীটনাশক ক্রয় করে তার বেগুন খেতে প্রয়োগ করে। 

কৃষক আবুল হোসেনের অভিযোগ ওই কীটনাশক প্রয়োগের পর তার এক বিঘা জমির বেগুন খেত মরে যায়।  

এতে কৃষক আবুল হোসেন ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। 

এ ঘটনায় স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ী মঞ্জু মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রাম্য শালিস বসলেও উল্টো নানা ধরনের হুমকির শিকার হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারটি। 

গ্রামবাসীরা বলছেন, ওই কীটনাশক ব্যবসায়ী একজন মুদী দোকানদার অথচ কীটনাশকসহ নানা ধরণের বালাইনাশক বিক্রি করে এলাকার কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে।

স্থানীয়রা জানান, শেরপুর সদর উপজেলার বলাইরচর কান্দাপাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আবুল হোসেন। তিনি প্রতি বছরের মতো এবারও এক বিঘা জমিতে উন্নত জাতের বেগুনের চাষ করেছেন। 

তার ক্ষেতের প্রায় সব গাছেই ঝুলছে বেগুন। ইতোমধ্যে বেগুন বিক্রিও শুরু করেছেন। তবে মাঝে মধ্যে দু’একটি বেগুন গাছে দেখা দেয় পোকার আক্রমণ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ী মঞ্জু মিয়ার কাছে বেগুন ক্ষেতের জন্য পোকা দমনের বালাইনাশক চাইলে সে তাকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মডেল নামে আগাছা দমনের কীটনাশক দেয়। 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবুল হোসেন বলেন,বেগুনে পোকা হয়েছে। তাই পোকা দমনের কিটনাশক চাইলে সে যে কিটনাশক দিয়েছে আমি সেটাই ক্ষেতে স্প্রে করেছি।

সকালে দেখি সব গাছ মরা। ধার দেনা করে বেগুনের চাষ করেছিলাম। বেগুনের খেত নষ্ট হওয়ায় আমার অন্তত ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে উঠে আসে এসব তথ্য  
স্থানীয় কৃষক মালেক মিয়া বলেন, দিন রাত পরিশ্রম করে তৈরি করা খেত নষ্ট হয়ে গেলো ব্যবসায়ীর খামখেয়ালিপনায়। ওই কৃষকের খেত থেকে প্রতিদিন ২ মন করে বেগুন তুলে বিক্রি করা যেত। 
অন্তত আরো দুই মাস বিক্রি করতেন বেগুন। এই বেগুন বিক্রির টাকা দিয়ে সংসারের খরচ করেও ধার দেনা পরিশেধ করতেন তিনি। আমরাও বিচার চাই। কিন্তু বেগুন খেতের ক্ষতি হওয়ায় কৃষক আবুল হোসেন দিশেহারা হয়ে পরেছে। 
কীটনাশক ব্যবসায়ী মঞ্জু মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ওই কীটনাশক দিইনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত