অনলাইন ডেস্ক ৮ জুলাই ২০২৪ , ৩:০৮:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
সিএমপির অফিশিয়াল ফেইসবুকে পেইজে যোগাযোগ; চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগ কর্তৃক ভারতে হারানো আইফোন চট্টগ্রামে উদ্ধার।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) জনাব মোহাম্মদ আলী হোসেন মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব সামীম কবির ও সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) জনাব কাজী মোঃ তারেক আজিজের নির্দেশনায় বিশেষ টিমের এসআই মোঃ রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ গত ০৬/০৬/২৪ খ্রি. চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নিউমার্কেট এলাকার জলসা মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করে ভারতের কলকাতায় হারানো আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইল উদ্ধার করে। মোবাইলটি উদ্ধার হলেও চোরাই মোবাইল ভারত থেকে চোরাই পথ দিয়ে নিয়ে এসে ব্যাবসা সিন্ডিকেটের হোতা কৌশলে পালিয়ে যায়। উদ্ধারের পর মোবাইলটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় মোবাইলটির মালিকের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়। মোবাইলটি হাতে পেয়ে তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য যে, কিছুদিন আগে একজন ভারতীয় নাগরিকের আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় হারিয়ে গেলে তিনি সেখানকার মহেশতলা থানায় জিডি করেন। মোবাইল হারানোর কিছুদিন পরে বাদীর নিকট একটি ইমেইল যায় যে, হারানো মোবাইলটি চট্টগ্রাম শহরে চালু হয়েছে। তখন তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল পেইজে যোগাযোগ করে তার জিডি ও মোবাইলটি চালু করার লোকেশন পাঠান। ম্যাসেজ পেয়ে সিএমপির জনসংযোগ শাখা তাকে আশ্বস্ত করেন যে মোবাইলটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা হবে। এরপর মোবাইলটি উদ্ধারের দায়িত্ব পড়ে চট্টগাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর-পশ্চিম) বিভাগের উপর। মোবাইলটিতে কোনো সিম প্রবেশ না করানো সত্ত্বেও নানা কৌশলে কাজ করে গোয়েন্দা বিভাগের দলটি চারজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে যারা ভারত থেকে চোরাই পথে চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে এনে চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমন্ডি লেনে বিভিন্ন খুচরা দোকানদারদের নিকট পৌঁছে দেয় এবং নিজেরাও খুচরা বিক্রি করে। আভিযানিক দল সিন্ডিকেটের হোতাকে টার্গেট করে অভিযান পরিকল্পনা করতে থাকলে সে যে-কোনো ভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরে একজন ব্যবসায়ী মারফত চোরাই মোবাইলটি ডিবির এসআই রবিউল ইসলামের নিকট পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যায়। এই সিন্ডিকেট ভারতের সব চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে পাঠায় এবং বাংলাদেশের চোরাই দামি মোবাইল ভারতে ও ভুটানে পাঠিয়ে থাকে। সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।