ঢাকা প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২৪ , ১২:৩৮:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
সুজন সম্পাদক ডক্টর বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে খামার বাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গতকাল ২৯ জুন,২০২৪খ্রিঃ দিনব্যাপী বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পিস অ্যাম্বাসেডর জাতীয় সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী কাজী আরাফাত, বিএনপি’র পক্ষে সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় পার্টির এমপি (মেজর) রানা মোহাম্মদ সোহেল সম্মেলনের নিজ নিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। সারা দেশের ১৭ জেলার ৪৯ টি উপজেলা থেকে ২২০০ পিস এম্বাসেডর এই সম্মেলনে অংশ গ্রহন করে। বক্তারা বলেন, পিএফজি সদস্যরা সারাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা নিরসন, পারিবারিক শান্তি প্রতিষ্ঠা, পারস্পরিক বিরোধ মীমাংসায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন চমৎকার এই উদ্যোগের জন্য বদিউল আলম মজুমদার কে ধন্যবাদ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অর্জিত বাংলাদেশ। ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট এর পর অপশক্তিরা শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টে ততপর রয়েছে। আমাদেরকে সেই প্রচেষ্টা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে কোনো আপোষ করা চলবে না। আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন বাংলাদেশের শান্তি সমৃদ্ধি নির্ভর করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উপর আর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নির্ভর করে রাজনৈতিক সমৃদ্ধির উপর।বৈষম্য কমাতে হলে রাজনীতিবিদদের ক্ষমতা সীমিত করতে হবে । মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন,শ্রেনী বিভক্ত সমাজে শান্তি সম্প্রীতি কখনো স্থায়ী হতে পারে না। শোষন বৈষম্ম্যের অবসান ঘটাতে হবে। বর্তমান বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বাজেট বড়লোকের স্যাটেলাইট গরিব লোকের হালুয়াটাইট।তিনি বলেন বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ঐক্য আমরা ১৯৭১ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম – রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতির ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। যেখান থেকে বিচ্যুত হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারতেছি না। কৃষি বাঁচাও, শিল্প বাঁচাও এই সমস্ত স্লোগানের পর এখন স্লোগান হচ্ছে রাজনীতিবাদ বাঁচাও। জাতীয় পার্টির এমপি (মেজর) অবঃ রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, বিভাজিত গোষ্ঠী থাকলে একত্রিত হবে কিভাবে, মফস্বলে ঐক্য আছে সাময়িক, স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলসমূহের কেন্দ্রে একতাবদ্ধতা দরকার। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বরিশাল বিভাগের পক্ষে সাংবাদিক ফারুক হোসেন তার বক্তব্যে পিএফজি সদস্যগন কতৃক ঝালকাঠির ইকোপার্ক রক্ষা আন্দোলন করতে গিয়ে সদস্যদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলার উল্লেখ করেন।ঝালকাঠি জেলার পক্ষে ইলিয়াস শিকদার ফরহাদ, মইন তালুকদার, মু. আল-আমীন বাকলাই, আক্কাস সিকদার, নাসিমা কামাল,প্রশান্ত দাস হরি, মুবিন ও চাঁদনী আক্তার সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। সাংবাদিক খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে নলসিটি থেকে আটজন পিস এম্বাসেডর, সাংবাদিক ফারুক শিকদারের নেতৃত্বে কাঠালিয়া থেকে আটজন পিস এম্বাসেডর সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। ঝালকাঠি জেলার পক্ষে নাসিমা কামাল বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনের পূর্বে আমরা সমস্ত প্রার্থীদেরকে একই প্লাটফর্মে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে জনগণের মুখামুখি করেছিলাম । করোনা কালীন সময়ে যখন বাবা-মা ভাই-বোন সকলকে ছেড়ে গেছে তখন পিএফজি সদস্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে ডঃ বদিউল আলম মজুমদার বলেন পারস্পরিক ল্যাং মারামারি জাতি বেশিদূর অগ্রসর হতে পারে না। ৩০ লক্ষ শহীদ, হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধারা এদেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছে, এখন আমাদের কর্তব্য দেশটাকে এগিয়ে নেয়া। আজকের সম্মেলনে ২২০০ পিচ এম্বাসেডর উপস্থিত আছেন- যার মধ্যে ৩১% নারী। আপনারা প্রত্যেকে ফিরে গিয়ে দশ জন করে এম্বাসেডর তৈরি করবেন। বিশৃঙ্খল সেনাবাহিনী দিয়ে যুদ্ধে জয় করা যায় না, আপনারা সবাই শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এই সম্মেলনের সমাপ্তি টানা হয়।