অনলাইন ডেস্কঃ ১৭ জুন ২০২৪ , ১২:০৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা । আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সামর্থ্যবান মুসলমানরা ঈদ-উল-আজহা নামাজ শেষে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে রাজধানীসহ সারা দেশে পশু কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সামর্থ্য ও পছন্দ অনুযায়ী গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি চলছে। বাবা-ছেলে, পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা সবাই মিলে কোরবানিতে অংশ নিচ্ছেন।
কোরবানির পশু জবায়ের জন্য সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থান থাকলেও রাজধানীবাসী বাসার গ্যারেজে, মহল্লার রাস্তা, ফাঁকা মাঠ এমনকি প্রধান সড়কে পশু কোরবানি দিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ-উল-আজহার প্রধান জামাত। বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন এর ইমামতিতে হাজারো মুসল্লি উপস্থিত হয়ে ঈদের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি ঈদগাহে তার পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সর্বস্তরের মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদ-উল-আজহার নামাজ আদায় করেন। পরবর্তীতে ঈদগাহে উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ছাড়াও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতারা এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
প্রতিবছর রমজানের ঈদে জাতীয় ঈদগাহে পাঁচটি জামাত হয়। তবে কোরবানির ঈদে হয় কেবল একটি জামাত। আজ ঈদগাহের প্রধান জামাত শেষে ৭টা ৪৫ মিনিটে মোনাজাত করেন বাইতুল মোকাররম মসজিদের প্রধান খতিব। মোনাজাতে তিনি বর্তমান বাংলাদেশের সামগ্রিক সমস্যা সমাধানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
এছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব এলাকায় বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।