অনলাইন ডেস্ক ১০ জুন ২০২৪ , ৬:০৩:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে যাত্রীবাহী রেলের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন ও যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম
আজ সোমবার বিকালে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।রেলমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ভারত থেকে ২০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহের জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া ২৬০টি ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারজ, ৪৫৪টি মিটার গেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ, ৪৬টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন এবং ৫০টি মিটার গেজ রেল ইঞ্জিন সংগ্রহের জন্য প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে।
প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে ১ নভেম্বর। শুরুর দিকে এ রুটে চলবে দুটি ট্রেন—সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-যশোরের মধ্যে চলাচল করা এ ট্রেন দুটিকে বঙ্গবন্ধু সেতু রুট থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে পদ্মা সেতু রুটে। তবে এ পথে ভ্রমণ সময় কিছুটা কমলেও যাত্রী পরিবহন করে ট্রেন দুটির আয় বাড়বে না। ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বাড়াতে আপাতত কোনো ভূমিকা রাখছে না এ রেলপথ।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে বর্তমানে প্রকল্প চলমান রয়েছে ২৫টি। এসব প্রকল্পের জন্য সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯০ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা বিদেশী ঋণ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলের উন্নয়নে ৮৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য বলছে, এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৭৩ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ, ৩৪০ কিলোমিটার রেলপথকে মিটার গেজ থেকে ডুয়াল গেজে রূপান্তর, ১ হাজার ৩৯১ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন/পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। এসবের স্টেশন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার, ইঞ্জিন-কোচ সংগ্রহ, সিগন্যাল ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও এ সময়ে ট্রেন পরিচালনায় খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা।
এমপি আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবহন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে দেশের সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনয়নের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যে ‘বিশদ নকশা প্রণয়ন ও দরপত্র দলিল প্রস্তুতসহ ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা’ প্রকল্পের মাধ্যমে অ্যালাইনমেন্ট নিম্নোক্তভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।