ষ্টাফ রিপোর্টার: মো.আসিফুজ্জামান আসিফ ৬ জুন ২০২৪ , ১:৩৮:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ, তার ভাই ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন এলাকায় সম্পদ, অনিয়ম এবং দুর্নীতির আরও তথ্য সংগ্রহ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ইতোমধ্যে দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিটের গোপন অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য, গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন ব্যক্তির পাঠানো অভিযোগের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। যদিও এখনো আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়নি দুদক। তবে তাদের বিরুদ্ধে আসা কয়েকটি অভিযোগ ও গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করছে দুদকের অভিযোগ যাচাই-বাছাই কমিটি (যাবাক)। অভিযোগ, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, গোয়েন্দা তথ্য ও বিভিন্ন মাধ্যমে আসা তথ্য-উপাত্ত আমলযোগ্য হলে অনুসন্ধানের বিষয়ে কমিশনে সুপারিশ পাঠাবে যাচাই-বাছাই কমিটি। সুপারিশ পর্যালোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে কমিশন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের একজন পরিচালকের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের গোয়েন্দা টিম গোপনে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার ভাইদের অর্থ সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করছে। গোপন অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে আজিজ আহমেদ ও তার ভাইদের নামে ফ্ল্যাট, প্লট, বিলাসবহুল বাংলো, বাড়ি, গাড়ি, হোটেল-রিসোর্ট, কয়েক শ বিঘা জমির তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, বিদেশে অর্থ পাচারেরও কিছু তথ্য এসেছে। তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। অভিযোগ ও তথ্যগুলো আমলযোগ্য কি না সে ব্যাপারে মতামত চূড়ান্ত করতে এখনো যাবাকের হাতে দিন সাতেক সময় আছে। এর মধ্যে আরও তথ্য এলে সেগুলো যাচাই করা হবে। সর্বোপরি অভিযোগের স্বপক্ষে অকাট্য দালিলিক তথ্য এলে অনুসন্ধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
আজিজ আহমেদ ও তার ভাইদের অর্থ সম্পদের তথ্য সংগ্রহে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও গোপনে চাঁদপুর জেলার সদর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গোপনে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন দুদকের গোয়েন্দা সদস্যরা। এ ছাড়া প্রতিদিনই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আজিজ আহমেদ ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচারের তথ্য প্রকাশ হলেই তার সত্যতা যাচাইয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।