ষ্টাফ রিপোর্টার: মো.আসিফুজ্জামান আসিফ ৬ জুন ২০২৪ , ১০:১৭:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে। টানা চতুর্থ মেয়াদে গঠিত বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট এটি।
দেশের ইতিহাসে এটিই হবে সব থেকে বড় আকারের বাজেট। জানা গেছে, এবারের বাজেটে বেশকিছু পণ্যের দাম কমতে পারে।
ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী
রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনসহ ইলেকট্রনিকস পণ্যের দাম কমতে পারে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, দেশীয় শিল্পের বিকাশে ২০২৩-২৪ বাজেটে ল্যাপটপ-কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। ফলে আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ বর্তমানে ল্যাপটপে আমদানি মোট ৩১ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। তবে নতুন ২০২৪-২৫ বাজেটে এই পণ্যটিতে শুল্ককর ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
ল্যাপটপ, মোবাইল
আগামী অর্থবছরে ল্যাপটপ আমদানি শুল্ক কমানো হতে পারে। দেশের বাজারে সংস্কারকৃত ও নকল পণ্যের প্রবেশ ঠেকাতে এবং স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সহায়তা করতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদনে যে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে তা আরও কমানোর কথা ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।
করমুক্ত আয়ের সীমা
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে না। তবে করদাতার হয়রানি কমাতে আয়কর রিটার্ন অ্যাসেসমেন্টের বিধান বাতিল করা হচ্ছে। এ জন্য বাজেটে আয়কর আইনে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে এনবিআর। এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যক্তি ও কোম্পানি দুই শ্রেণির করদাতাই কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।
কৃষিযন্ত্র
কৃষিকাজের যন্ত্রের দাম কমতে পারে। তবে কৃষি উপকরণ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে বিত্তবানদের ওপর বাড়তি কর আরোপের পরিকল্পনা করছে এনবিআর।
করপোরেট করহার
শর্তসাপেক্ষে করপোরেট করহার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। উৎপাদনশীল খাতে তালিকাভুক্ত নয়— এমন শিল্পে কর সাড়ে ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা করা হতে পারে। তবে অন্য সব খাতে কর অপরিবর্তিত থাকবে।
নিত্যপণ্যে দাম কমতে পারে
এনবিআরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবারের বাজেটে কর ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না হলেও নিত্যপণ্য আমদানিতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কর ও ভ্যাট কমানোর মতো সুযোগ রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রব্যমূল্য কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। আর এই কারণে কোনো কোনো জায়গায় এনবিআর ছাড় দিলে ভোগ্যপণ্যের দাম কমবে, সে বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।