প্রতিনিধি ১১ মে ২০২৪ , ১১:৩৫:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে প্রিপেইড মিটার চালু করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি-ডিপিডিসি। এই পদ্ধতিতে গ্রাহক আগাম মিটার রিচার্জ করে বিদ্যুৎ সেবা গ্রহণ করেন।
গ্রাহক সুবিধা বৃদ্ধির কথা বলে প্রিপেইড মিটার স্থাপন শুরু হলেও এখন অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে এ কার্যক্রম। উল্টো গ্রাহক হয়রানি বেড়েছে কয়েকগুণ।প্রিপেইড মিটারগুলো গ্রাহকদের অনেকটা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন তখন লক হয়ে যাওয়া, টাকা রিচার্জে সমস্যা, ব্যাটারি সিন্ডিকেটে পড়ে গ্রাহকদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
প্রিপেইড মিটার গ্রাহকদের অভিযোগ,প্রিপেইড মিটারের সেবার জন্য জনবল সংকটে হয়রানি বেড়েছে।কেন্দ্রে অভিযোগ দিলেও তা সিরিয়ালে পড়ে থাকে। দুই-এক মাস পর পর ২২০টি সংখ্যা চেপে টাকা রিচার্জ করতে হয়। এ ছাড়াও মিটার লক হয়ে গেলে তা ঠিক করতে কয়েক দিন লেগে যায়। যখন তখন ব্যাটারি চলে যায়। অভিযোগ করলে ঠিক করতে কয়েক দিন লেগে যায়। এ সময়টা গ্রাহকদের অন্ধকারে থাকতে হয়। বিনামূল্যে ব্যাটারি পরিবর্তনসহ এ সেবার নিয়ম থাকার পরও এসব সেবা নিতে হাজার টাকা পর্যন্ত লাগছে। টাকা না দিলে সিরিয়ালের কথা বলে দিনের পর দিন ফেলে রাখা হয় অভিযোগ।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিল আদায়ে নিয়োজিত অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো বিদ্যুৎ বিল আদায়ে অতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন করছে। তাদের প্রতি মাসে বকেয়া আদায়ের পাশাপাশি টার্গেট দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে সরাসরি ব্যাংক,এজেন্ট ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং দোকান থেকে বিল সংগ্রহ করা হয়।
সূত্র জানা যায়, প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে এই ধরনের সংগ্রহের কোনো প্রয়োজন নেই। তাই সেখান থেকে টাকা কেটে নেওয়া খুব সহজ। মাস শেষে এটি কাটা হলে বিদ্যুৎ বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সহজ হয়ে যায়।