আন্তর্জাতিক ডেস্ক ৩০ জুন ২০২৪ , ১:০৫:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে অনুষ্ঠিত বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের সামনে তাঁর এই বিপর্যয়ের কারণে অনেক ডেমোক্রেটিক সমর্থকের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে বাইডেন নিজে এখনো যথেষ্ট আশাবাদী। শনিবার একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে আগামী নভেম্বরে নিজের জয়ের ব্যাপারে বড় অর্থদাতাদের আশ্বস্ত করেছেন বাইডেন।
নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে ওই তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। অনুষ্ঠানে জিল দৃঢ়ভাবে ৮১ বছর বয়সী স্বামীর পক্ষে কথা বলেছেন। এদিন এক সমাবেশে জিল বলেন, ‘জো এই কাজের জন্য শুধু সঠিক ব্যক্তিই নন…তিনি এ দায়িত্বের জন্য একমাত্র ব্যক্তি।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে ওই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
হস্পতিবারের বিতর্কে বাইডেন বার বার কথার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন। ট্রাম্পের সামনে তাঁর কথা আটকেও যাচ্ছিল। ওই বিতর্কের পর থেকে বাইডেনের বয়স এবং তাঁর মানসিক সক্ষমতা নিয়ে থাকা সংশয় ও গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
ওই বিতর্কের পর বাইডেনের নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত কি না, বা ডেমোক্রেটিক পার্টি তাঁর বিকল্প প্রার্থী খুঁজবে কি না সে বিষয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় বোর্ডসহ অনেক রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার ওই বিতর্কের পর বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন।
তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচিত কোনো শীর্ষ পর্যায়ের ডেমোক্রেটিক নেতা বাইডেনকে এমন কথা বলেননি। বরং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং বিল ক্লিনটন শুক্রবার প্রকাশ্যে বাইডেনের প্রতি তাঁদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সেদিন নর্থ ক্যারোলিনায় বাইডেন নিজেও জ্বালাময়ী এক বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি আগের মতো সহজে হাঁটতে পারছি না। আমি আগের মত সাবলীলভাবে কথা বলতে পারছি না। আমি আগের মত বিতর্কেও ভালো করতে পারছি না।
‘কিন্তু আমি জানি কীভাবে সত্য বলতে হয়। আমি জানি কীভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ পড়ে গেলও পুনরায় উঠে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
শনিবার এক সমাবেশে বাইডেন আরও বলেন, ‘ওই রাতটা আমার জন্য দারুণ কিছু ছিল না, ট্রাম্পের জন্যও না।
‘আমি আপনাদের বলছি, এই নির্বাচনে আমরাই জিততে চলেছি।
নিউইয়র্কে সমাবেশ শেষ করে স্ত্রীকে নিয়ে নিউ জার্সিতে যান বাইডেন। সেখানে তিনি রাজ্যের ডেমোক্রেটিক গভর্নর ফিল মুরফির সঙ্গে একটি তহবিল সংগ্রহের সমাবেশে যোগ দেন।
সেখানে বাইডেন বলেন, ‘বিতর্কের পর যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে আমি সেটা বুঝতে পারছি। ওই রাতটা আমার ভালো যায়নি, কিন্তু আমি আরও কঠোর লড়াই করতে চলেছি।’