আন্তর্জাতিক

পবিত্র কাবাঘরের ১০৯তম চাবিরক্ষকের মৃত্যু

  আন্তজার্তিক ডেস্ক ২৩ জুন ২০২৪ , ১২:০৭:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

পবিত্র কাবাঘরের ১০৯তম চাবিরক্ষকের মৃত্যু
পবিত্র কাবাঘরের চাবিরক্ষক শায়খ ড. সালেহ বিন জয়নুল আবেদিন আল-শায়বি। (ছবি সংগৃহিত)

পবিত্র কাবাঘরের চাবিরক্ষক শায়খ ড. সালেহ বিন জয়নুল আবেদিন আল-শায়বি ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তিনি ছিলেন পবিত্র কাবাঘরের ১০৯তম চাবিরক্ষক। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৯ বছর।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার তিনি মারা যান। এরপর গতকাল শনিবার ফজরের নামাজের পর পবিত্র মসজিদুল হারামে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে জান্নাতুল মুআল্লায় দাফন করা হয়।

সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। 

ড. সালেহ আল-শায়বির মৃত্যুতে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী সাধারণ কর্তৃপক্ষ এবং ধর্মবিষয়ক পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রবিয়াহ এবং শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস। 

খবরে বলা হয়েছে, মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মক্কা বিজয়কাল থেকে ৭৭তম এবং তার পূর্বপুরুষ কুসাই বিন কিলাব-এর যুগ থেকে ১০৯তম চাবিরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ড. সালেহ আল-শায়বি। তিনি বিখ্যাত সাহাবি উসমান ইবনে তালহা (রা.)-এর বংশধর ছিলেন। যার ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছিলেন, ‘হে তালহার বংশধর, তোমরা এ চাবি গ্রহণ কোরো। তোমাদের কাছে তা থাকবে। অত্যাচারি ছাড়া কেউ তা ছিনিয়ে নেবে না।’ 

মূলত জাহেলি যুগ থেকেই কাবাঘরের চাবি শায়বা গোত্রের কাছে থাকত। অষ্টম হিজরি তথা ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেই ওই গোত্রের উসমান ইবনে তালহার (রা.) কাছে চাবি হস্তান্তর করে তাকে সম্মানিত করেন। এরপর থেকে তার বংশধরেরা ওই চাবি সংরক্ষণ করছেন।

বর্তমান সময়ে তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়েই বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের বাদশাহ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবা ঘরে প্রবেশ করে থাকেন।

ড. সালেহ আল-শায়বি ১৩৬৬ হিজরি সালে কাবাঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারী মক্কার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ড. সালেহ মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলাম শিক্ষা পিএইচডি গ্রহণ করে অনেক বছর সেখানে শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৯৮০ সালে তার চাচা শায়খ আবদুল কাদির আল-শায়বির স্থলাভিষিক্ত হয়ে পবিত্র কাবাঘরের প্রধান রক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। তখন থেকে আমৃত্যু তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এ সময়ে তিনি শতাধিক বার পবিত্র কাবাঘর পরিচ্ছন্নতা ও ধৌত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত