আন্তর্জাতিক ডেস্ক ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ৪:৩৯:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
অবরুদ্ধ গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি সংকটে সেখানকার বেকারিগুলো রুটি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহায়তায় আবারও উৎপাদন শুরু করেছে কয়েকটি বেকারি।
ডব্লিউএফপি গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, তারা গাজার উত্তরাঞ্চলের বেকারিগুলোতে জ্বালানি ও গমের আটা সরবরাহ করেছে। ফলে ১৭০ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও চারটি বেকারি চালু করা সম্ভব হয়েছে। আরও কয়েকটি বেকারি চালু করতে ডব্লিউএফপি নতুন সরবরাহ পাঠানোর জন্য কাজ করছে।
যদিও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় এখনো উপত্যকাটিতে বড় ধরনের খাদ্যসংকট রয়েছে।
এদিকে শরণার্থী অধ্যুষিত রাফা শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। আল-জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেন, ‘রাফাজুড়েই কেবল ইসরায়েলি ড্রোনের শব্দ শোনা যাচ্ছে। প্রায় ১৫ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি এখানে স্থল আক্রমণ সম্প্রসারণের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে। যদিও তারা জানে না কোথায় যাবে। ছয় মাস ধরে রাফাই ছিল গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়স্থল।’
সোমবারও (২২ এপ্রিল) গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। রাফায় রবিবারের হামলায় ১৬ শিশু ও ১২ জন নারীসহ নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪-এ। এ ছাড়া নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণের গণকবর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় নিহত ২১০ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করেছেন গাজার জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
দ্য ইউএস ক্যাম্পেইন ফর প্যালেস্টাইন রাইটস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে নাসের হাসপাতালের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সংগঠনটি দাবি করেছে, এই গণকবরগুলো গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের সুস্পষ্ট প্রমাণ।
ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ঠেকানোর ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহরন হালিভা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে গতকাল সোমবার বলেছে, সামরিক বাহিনী প্রধান হালিভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং তার সেবার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা