আন্তজার্তিক ডেস্ক ১৪ জুলাই ২০২৪ , ১:০৭:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কেপি শর্মা অলি। আজ রবিবার সন্ধ্যায় সিপিএন-ইউএমএল দলের প্রধান অলিকে আনুষ্ঠানিক প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান সাবেক মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচন্ড। খবর কাঠমান্ডু পোস্টের।
নেপালের প্রেসিডেন্ট ভবন শীতল নিবাস সূত্র জানিয়েছে, অলির প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ রয়েছেন কিনা, থাকলে প্রধানমন্ত্রী পদে তার প্রার্থিতা দাবি পেশের সময় রবিবার সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত। নির্ধারিত সময় উৎড়ে গেলেই প্রেসিডেন্ট পাউডেল নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অলিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। এরপর সোমবার বেলা ১১টায় নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল সোমবার তৃতীয় মেয়াদে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হবেন খড়গে প্রসাদ (কেপি) শর্মা অলি। তিনি এই মেয়াদে নেতৃত্ব দেবেন নিজের দল ইউএমএল ও আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার দল নেপালি কংগ্রেসের জোট সরকারের।
নেপালে চতুর্থ দফায় প্রধানমন্ত্রী পদে ক্ষমতাসীন ছিলেন নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ৫৯ বছরের প্রচন্ড। মাত্র ১৯ মাসের মাথায় পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে আস্থা ভোটে হেরে যান তিনি।
নেপালি পার্লামেন্টে ২৭৫ আসনের নিন্মকক্ষে আস্থা ভোটে জিততে হলে প্রচন্ডকে পেতে হতো ১৩৮ ভোট। ভোটাভুটিতে উপস্থিত ছিলেন ২৫৮ এমপি। তার মধ্যে প্রচন্ড পেয়েছেন মাত্র ৬৩ ভোট। তার বিরুদ্ধে ভোট দেন ১৯৪ এমপি। না ভোট দিয়েছেন একজন।
মূলত প্রচন্ডের দল নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএন-মাওবাদী) সঙ্গে নেপাল-ইউনিফাইড মার্কসবাদী লেনিনবাদী (সিপিএন-ইউএমএল) দলের জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন প্রচন্ড। সম্প্রতি ইউএমএল জোট সরকার থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলে বিপাকে পড়েন প্রচন্ড।
প্রচন্ডের সরকার থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে ইউএমএল পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ঘোষণা দেন এবং ইউএমএল চেয়ারম্যান কেপি শর্মা অলি নতুন সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের দাবি তুলেন।
এরপরই শুক্রবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যান প্রচন্ড। আর অলি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি নিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ভবন শীতল নিবাসে। প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলের কাছে নিজের সমর্থনে ১৬৫ আইনপ্রণেতার স্বাক্ষর উপস্থাপন করেন অলি। এরমধ্যে তার নিজের দলের ৭৭জন এবং নেপালি কংগ্রেসের ৮৮ এমপি রয়েছেন।
গণতান্ত্রিক নেপালের প্রথম প্রধানমন্ত্রী অলি এবার তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণকারী অলির রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৬৬ সালে। ১৯৭০ সালে তিনি নেপালি কমিউনিস্ট পার্টিতে (সিপিএন) যোগ দেন। ১৯৯১ সালে তিনি প্রথম এমপি হন। ২০০৬-০৭ মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রী জিপি কৈরালার আমলে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন অলি।