আন্তর্জাতিক

বিক্ষোভ দমনে গুলি: কেনিয়ায় পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ

  আন্তজার্তিক ডেস্ক ১৩ জুলাই ২০২৪ , ১২:২৯:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

বিক্ষোভ দমনে গুলি: কেনিয়ায় পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ
কেনিয়া পুলিশ প্রধান জাফটে কুমে। ছবি সংগৃহিত

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু ও তীব্র সমালোচনার পর কেনিয়ার পুলিশপ্রধান পদত্যাগ করেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। এর এক দিন আগেই প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো তার মন্ত্রিসভার প্রায় সব সদস্যকে বরখাস্ত করেন।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রুটো পুলিশের মহাপরিদর্শক জাফেট কুমের ‘পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন’।

তিনি ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ডেপুটি পুলিশপ্রধান ডগলাস কানজা অবিলম্বে বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন।

দুই সপ্তাহ আগে পার্লামেন্টে বিতর্কিত অর্থ বিল পাস হওয়ার পরপরই বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে হামলা চালায়। পুলিশ রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়।

তিনি ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ডেপুটি পুলিশপ্রধান ডগলাস কানজা অবিলম্বে বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন।

দুই সপ্তাহ আগে পার্লামেন্টে বিতর্কিত অর্থ বিল পাস হওয়ার পরপরই বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে হামলা চালায়। পুলিশ রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়।

তরুণ নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে কুমের পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছিল। বিক্ষোভের সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে রুটো দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মধ্যে এ বিক্ষোভ তার জন্য সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি করেছে। 

রুটো বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত অজনপ্রিয় কর বৃদ্ধির অর্থ বিল বাতিল করা।

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রুটো পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসালিয়া মুদাভাদি ও ডেপুটি প্রেসিডেন্ট রিগাথি গাচাগুয়া বাদে অ্যাটর্নি জেনারেল ও মন্ত্রিপরিষদের বাকি সদস্যদের বরখাস্ত করেন।

কেনিয়ার ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঋণের বোঝা কমাতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে কর ব্যবস্থাগুলো প্রস্তাব করা হয়েছিল। দেশটির সংগৃহীত রাজস্বের প্রায় ৬০ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা দেশে প্রচুর অপচয় ও দুর্নীতি রয়েছে উল্লেখ করে জোর দিয়ে বলে, সরকারের প্রথমে খরচ কমানো উচিত। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বেশ কয়েকটি কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন।

ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক রাজনীতির অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল লিঞ্চ বলেন, ‘রুটো এখন যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন, তা হলো একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা, যাতে বিভিন্ন স্বার্থ জড়িত থাকে, একই সঙ্গে স্পষ্টভাবে নেতৃত্বহীন আন্দোলনের মুখে জনগণের ক্ষোভকে শান্ত করে।’

রুটো বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, তিনি ‘অবিলম্বে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সেক্টর ও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শে নিযুক্ত হবেন’। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।

সূত্র : এএফপি, বিবিসি

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত