জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত কিডনি পাচার চক্র,অ্যাপোলোর চিকিৎসক গ্রেপ্তার

  অনলাইন ডেস্ক ১১ জুলাই ২০২৪ , ৩:০৯:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশ-ভারত কিডনি পাচার চক্র,অ্যাপোলোর চিকিৎসক গ্রেপ্তার

কিডনির অবৈধ কেনাবেচা ও বিপুল আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ভারত ও বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সন্দেহভাজন ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। চক্রটির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক চিকিৎসকও আছেন। তাঁকে গত সপ্তাহে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

২০২১-২০২৩ সাল পর্যন্ত নয়ডাভিত্তিক ইয়াথার্থ হাসপাতালে তিনি প্রায় ১৫-১৬টি কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর জানিয়েছে।

পুলিশ বলছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কিডনি বাণিজ্যে সক্রিয় এই চক্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ৫০ বছর বয়সী চিকিৎসক বিজয়া কুমারী। তিনি দিল্লির নয়ডাভিত্তিক বেসরকারি ইয়াথার্থ হাসপাতালে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৫-১৬টি কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন। এই চিকিৎসক ছাড়াও বাংলাদেশি আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ড. কুমারী একজন অভিজ্ঞ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন এবং প্রায় ১৫ বছর আগে অ্যাপোলো হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তিনি হাসপাতালের স্থায়ী কর্মচারী ছিলেন না। বরং ফি নেওয়ার বিনিময়ে সেবা ভিত্তিতে কাজ করতেন।

ইয়াথার্থ হাসপাতালের অতিরিক্ত মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট সুনীল বালিয়ান জানিয়েছেন, কুমারী হাসপাতালের ভিজিটিং কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। প্রায় তিন মাস আগে একটি সার্জারি করেছিলেন।

ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুলিশের এই কার্যক্রমের পরপরই ড. কুমারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পূর্বে ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তের জন্য আমাদের কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল এবং আমরা সেই তথ্য সরবরাহ করেছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছে, ‘রাজস্থান রাজ্যে কিডনি প্রতিস্থাপনের একটি চক্র ধরা পড়ার পর আমাদের কাছে খবর আসে এবং এ নিয়ে আমরা মাস তিনেক আগে কাজ শুরু করি।’ তিনি জানান, প্রতিটি কিডটি প্রতিস্থাপনে চক্রটি চিকিৎসককে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দিত বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। 

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত