প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২৪ , ১০:৫৩:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকায় শব্দের গড় মাত্রা ১২০ ডেসিবেল। যা সহনীয় মাত্রার দ্বিগুণ। শুধু ঢাকা নয়, দেশজুড়েই শব্দের মাত্রা নিরাপদ মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ থাকছে। এতে দীর্ঘমেয়াদে শুধু শ্রবণশক্তি বা মনোযোগ কমে যাওয়াই নয়, ঝুঁকি বাড়ছে হৃদরোগেরও।
হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান নীরব এলাকা। টানানো আছে হর্ন না বাজানোর নির্দেশনাও। কিন্তু কেউ মানছে না এসব নির্দেশনা।
সড়ক জুড়ে হুড়োহুড়ি আর বাড়াবাড়ি দেখলে মনে হতে পারে, চোখ দিয়ে নয়, কান দিয়ে গাড়ি চালিয়ে সবাই সবার আগে যেতে চান।
আবার উৎসব-পার্বণে, কারণে-অকারণে মাইক, পটকা বা আতশবাজি শব্দ দূষণের মাত্রাকে করে আরও অসহনীয়। যদিও ২০০৬ সালের পরিবেশ আইনে সুনির্দিষ্ট করে বলা আছে, এলাকাভেদে কখন কতটুকু শব্দ থাকতে পারে।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির তথ্যে ২০২২ সালে বিশ্বে শব্দ দূষণে শীর্ষে ছিল ঢাকা। যার গড় শব্দ মাত্রা ছিল ১১৯ ডেসিবেল। সম্প্রতি বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র জরিপে, ঢাকায় সর্বনিম্ন ৫৪ দশমিক ৮ ডেসিবেল ও সর্বোচ্চ ১২৭ দশমিক ৩০ ডেসিবেল শব্দমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
জাতীয় নাক, কান, গলা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আবু হানিফ বলেন, শব্দ দূষণের কারণে অনেকে ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। এমনকি অনেক কিছু মনে রাখতে পারছে না, মাথা ব্যথা হয়। এছাড়া হার্টের সমস্যা হয়। এতে আস্তে আস্তে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।