শিক্ষা

নোবিপ্রবি প্রশাসনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা

  নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: কান্তা রায় তমা ৭ আগস্ট ২০২৪ , ৮:৩১:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ৪ দফা দাবি জানিয়েছে।

আজ বুধবার (৭ আগস্ট ২০২৪) নোবিপ্রবির সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- ১) এই ক্যাম্পাসে সকল ধরনের সন্ত্রাস ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ২) ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শের পরিচালক, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক, হল প্রভোস্ট উল্লেখিত ব্যাক্তিদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে ৩) যে সকল শিক্ষার্থী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে বা কোন শিক্ষার্থীকে হুমকি দিয়েছে কিংবা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে তাদের আবাসিক হলের সিট আজীবনের জন্য বাতিল করে হল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। ৪) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভিত্তিতে হলের নাম পরিবর্তন করতে হবে।

এ ব্যাপারে নোবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল জকি হোসাইন বলেন, ‘সমন্বয়ক হিসেবে না বলে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বলবো আমার দেশ গঠনে আমরাই যথেষ্ট। আমাদের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর এবং উদ্যমী মনোবল পারে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সমস্ত সীমাবদ্ধতা দূর করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক অরাজকতা রুখতে এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদেরকে প্রকৃত শিক্ষা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’ তিনি আরো বলেন, ‘এইবিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যক্তিরা শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। এরা দলকানা এবং সার্থান্ধ। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে তারা মেতেছিলো নিজেকে নিয়ে। আর যেই প্রশাসন আমাদের কথা চিন্তা করতে দ্বিধাবোধ করে, তারা কখনোই প্রশাসনে থাকার যোগ্যতা রাখতে পারে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান হ্যাপি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।এই রাজনীতির শিকার স্টুডেন্ট, শিক্ষক সবাইকে হতে হচ্ছে।আমরা ক্যাম্পাসে আর কোনো প্রকারের রাজনীতি চাইনা। এছাড়া ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতাকারীদের আবাসিক হলের সিট বাতিল করতে হবে।এরা থাকলে অন্যান্য সাধারণ স্টুডেন্টরা শান্তিতে হলে থাকতে পারবেনা। তাছাড়া হলে সকল ধরণের পলিটিক্যাল সিটের নামে যে নোংরা রাজনীতি চলে সেটার বিরুদ্ধে হল প্রভোস্টদের কে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। থার্ড ইয়ারে উঠেও আমরা এখনো হলে সিট পাইনা, আর জুনিয়র ব্যাচ এসেই পলিটিক্যাল সিটের নামে হলে উঠে যায়।এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।’

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত