অপরাধ

আ.লীগ নেতার বাসায় চুরির ঘটনায় ২ চোর আটক, মালামাল উদ্ধার

  সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ১০ জুলাই ২০২৪ , ১১:০২:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

আ.লীগ নেতার বাসায় চুরির ঘটনায় ২ চোর আটক, মালামাল উদ্ধার
আ.লীগ নেতার বাসায় চুরির ঘটনায় ২ চোর আটক, মালামাল উদ্ধার

সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. কল্লোল তালুকদার চপলের বাসায় চুরির ঘটনায় দুই চোর আটক ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঙ্গলকাটা এলাকা থেকে চোর মো. ফজর আলী কে আটক করেন। সে ভৈষাড়পাড় খাসপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।

জিজ্ঞাসাবাদে মো. ফজর আলী জানায়, ভৈষাড়পাড় গ্রামের মৃত. আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৩২) স্টিলের দরজা টান দিয়ে বাঁকা করে কৌশলে কাঠির মাধ্যমে ছিটকারি খুলে প্রবেশ করে কল্লোল তালুকদারের বাসায়। চুরি করা মালামাল মো. জসিম উদ্দিনের কাছে আছে বলেও জানায় সে। ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করার দুইদিন পর বুধবার তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিলেটের শাহপরান থানার ডি-ব্লক, বাসা নং-৬ এর (নিহা মঞ্জিল) ও সিলেট শহরের উপশহর ও এয়ারপোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর মো. জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া ১টি ল্যাপটপ, ২টি স্যামসাং মোবাইল ও ১টি নকিয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গেল দুই জুলাই গভীর রাতে অ্যাড. কল্লোল তালুকদার চপলের বাসার চুরি করে এসব মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা।

অ্যাড. কল্লোল তালুকদার বলেম, আমি চেম্বারে কাজ করার সময় ক্লান্ত অনুভব করলে বিশ্রামের জন্য যাই, আমার কম্পিউটার সহ সব কিছু তখন খোলাই ছিল কারণ আমি আবার এসে কাজে যোগ দেবো ভেবেছিলাম। কিন্তু বিশ্রাম নিতে গিয়ে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছি বুঝতে পারিনি। এই রাতেই আমার মূল দরজা বাইরে থেকে লক করে পাশের বাড়ির দিক থেকে স্টিলের দরজা ভেঙে লাঠি দিয়ে দরজা খুলে চোর ঢুকে ঘরে। আমার স্ত্রী আলমারি খোলার শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারে চোর ঢুকেছে। আমাকে ডাক দিলে আমি উঠে আর বের হতে পারিনি কারণ বাইরে থেকে চোর দরজা লাগিয়ে রেখেছিল। এর ভেতরে চোরেরাও পালিয়ে যায়। এরপর মামলা করলে মঙ্গলবার রাত থানার ওসি সাহেব ফোন দিয়ে যেতে বলেন। গিয়ে দেখি আমার চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার ও চোরকে আটক করেছেন তারা। এখন আদালতের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া মালামাল আনতে হবে। সদর থানার কর্মকর্তার উদ্ধার তৎপরতায় আমি খুব খুশী।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খালেদ চৌধুরী বলেন, চুরির খবর পাওয়ার পরই আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখেছি। চোর ধরতে অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুই চোরকে আটক করে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করেছি।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত