টেকনাফ প্রতিনিধিঃ শামসুল আলম শারেক ২ জুলাই ২০২৪ , ৮:৩২:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম মূলহোতাসহ ০৪ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে দেশীয় অস্ত্র সহ কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫
গত ০২ জুলাই র্যাব -১৫ এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের চকরিয়া থানার কোরালখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের প্রধান ১। বেলাল হোসেন (৪৫), পিতা-আকবার আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ২। কামাল আহম্মেদ (৪২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৩। আব্দুল মালেক (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার ও তাদের সহযোগী ৪। নুরুল আমিন (৩৫), পিতা-মৃত জহির আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার’দেরকে গ্রেফতার করে। উক্ত অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ বোর ৪০ রাউন্ড, ৭.৬২ মিঃ মিঃ ১০ রাউন্ড এবং ৭.৬৫ মিঃ মিঃ ২ রাউন্ড। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতি, চিংড়ি ঘের দখল ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। গ্রেফতারকৃত বেলাল, কামাল এবং মালেক আপন তিন ভাই। তারা অস্ত্রধারী ডাকাতদের নিয়ে “বেলাল বাহিনী” গড়ে তুলে মাছের ঘের দখল, লুটতরাজ, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। এই বাহিনীর সশস্ত্র ডাকাত সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ জন। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, লবণের মাঠ ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গ্রেফতারকৃতরা দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাত এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতো।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা আধিপত্য বিস্তার ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে ভাড়া করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাদের দলের শক্তি বৃদ্ধি করে। গ্রেফতারকৃতরা মৌসুমের পর মৌসুম মাছের ঘের মালিকদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করতো। ঘের মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রেফতারকৃত বেলালের নেতৃত্বে ডাকাতি করে নিয়ে যেতো ঘেরের মাছ ও মাছ চাষের নানা উপকরণ। এছাড়াও মাছের ঘের তাদের দখলে নিয়ে নিতো এবং কর্মচারীদের মারধর করে তাড়িয়ে দিতো। এমনকি ঘের মালিক ও কর্মচারীদের অপহরণ করেও নিয়ে যেতো এবং মুক্তিপণ আদায় করতো।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপ্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব ১৫ এর ল এন্ড মিডিয়া কর্মকর্তা আবু সালাম চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।