সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ৮ জুন ২০২৪ , ১০:১৭:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ভেজাল ও নিম্নমানের মসলায় সয়লাব তাহিরপুর উপজেলার বৃহৎ হাট বাদাঘাট বাজার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব মসলায় ইট, অটো মিলের কুড়া ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে। পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে আলোচনা করছেন সচেতন মহল।
তাহিরপুর উপজেলার পাইকারী হাট হচ্ছে বাদাঘাট বাজার। ওখান থেকেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের পাইকারগণ মসলা কিনে নিয়ে উপজেলার সবকটি হাটবাজারে বিক্রি করে থাকে। ঈদকে সামনে রেখে দোকানে দোকানে পৌঁছে গেছে এসব ভেজাল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মসলা। এসব মসলার মধ্যে মরিচের সঙ্গে ইটের গুঁড়া, হলুদে মটর ডাল, ধনিয়ায় ‘স’ মিলের কাঠের গুঁড়া ও পুস্তদানায় সুজি মেশানো হচ্ছে। বেশি মুনাফা লাভের আশায় বাদাঘাট বাজারের মসলা ভাঙানোর মিলগুলো এসব ভেজাল মসলার যোগান দিচ্ছে। অসাধু দোকানদাররাও বেশি লাভের আশায় এসব ভেজাল মসলা বেশি বিক্রি করছে।
শুক্রবার ভেজাল মসলার বিষয়ে বাদাঘাট বাজারের মো. আহাদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেজাল মসলার ছবিসহ তার পোস্টে লিখেন ‘বাদাঘাট বাজার মসলা বানানোর কারখানা। কাঠের গুঁড়া, আটার কুড়া, আর সাথে দিচ্ছে লাল রঙের ক্যামিক্যাল। আর অল্প কিছু মরিচ। সব একসাথে মিশিয়ে এগুলিকে মেলিং করে বাজারজাত করানো হয়। আর সাধারণ মানুষ এগুলি বাজার থেকে কিনে খায়। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এগুলো যেন একটু নজরে নেন। মানুষকে কীভাবে বোকা বানানো হয় তা আমি আজ নিজে চোখে দেখলাম।’ তার এ লেখাটি সন্ধ্যায় পোস্ট করা মাত্র মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং শতাধিক শেয়ার হয়।
তাহিরপুর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মকবুল হোসেন বলেন, বাদাঘাট বাজারের মসলা মিলগুলো ভেজাল মসলা তৈরি করছে অনেকেই তার নিকট অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তিনি সরজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।