প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২৪ , ৯:৪৪:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ময়মনসিংহের ভালুকা হতে ৮ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ দাবি : র্যাব-১৪ ও র্যাব-১ এর যৌথাভিযানে গাজীপুর এর গাছা থানা এলাকা হতে ভিক্টিম উদ্ধার ও ২ জন আসামী গ্রেফতার
১। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অপহরণের মতো চাঞ্চল্যকর অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
২। এজাহারে বাদীর বক্তব্য ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বাদী মোঃ মিলন মিয়া (৩৩) এর স্ত্রী ও বিবাদী মোঃ হারুন (৩০) একই কোম্পানীতে চাকরি করে। সেই সুবাদে বাদীর ০৮(আট) বছরের ছেলে ভিকটিম বিবাদী মোঃ হারুনকে চিনে। ঘটনার দিন ইং ০৪/০৬/২০২৪ তারিখ দুপুর ০৩.২৯ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ভিকটিমের মাদ্রাসায় বড় হুজুর আনসারুজ্জামান খানকে কল দিয়ে সে নিজেকে ভিকটিমের পিতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলে আমাদের আত্মীয় আমার ছেলের মাদ্রাসার সামনে এসেছে এবং আমার ছেলেকে ছুটি দিলে আমাদের আত্মীয় তাকে বাসায় নিয়ে যাবে। তখন মাদ্রাসার বড় হুজুর বিবাদী মোঃ হারুন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ০১ জনকে দেখিয়ে দিলে ভিকটিম তাদের চিনে মর্মে তাদের সাথে যেতে দেয়।
৩। পরবর্তীতে, বাদীর ছেলে রাতে বাসায় খেতে না আসলে বাদী মাদ্রাসায় গিয়ে বড় হুজুরকে তার ছেলে ভিকটিম কোথায় জিজ্ঞেস করলে বড় হুজুর ঘটনার বিস্তারিত জানালে ভিকটিমের পিতাসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাদীর মোবাইল ফোনে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে ৫০,০০০/- টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে, ভিকটিমের পিতা মোঃ মিলন মিয়া(৩৩) বাদী হয়ে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় একটি অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীর মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর পরেই র্যাবের একটি দল ঘটনার বিষয়ে ছায়াতদন্তে নামে এবং ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।
৪। এরই ধারাবাহিকতায়, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অধিনায়ক র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ মহোদয়ের নির্দেশক্রমে র্যাব-১৪ ও র্যাব-১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানাধীন এলাকা হতে আসামী ১। মোঃ আঃ আলিম(২৮), পিতা- মোঃ আবুল কাশেম, সাং- রামবিরাশি, থানা- মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ এবং আসামী ২। বিপ্লব(৩৫), পিতা- মোঃ আঃ কাদের, সাং- তাচতালু, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা- রংপুরদ্বয়কে গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
৫। ধৃত আসামিদ্বয়কে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।