ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ৩১ মার্চ ২০২৪ , ১১:৩৯:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারে কিছুটা হলেও আনন্দ দিয়েছেন মসিকের নব নির্বাচিত মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন নগরীর নতুন বাজার বাগান বাড়অজিত দত্ত, গোলকী বাড়ির আবু তাহের মুকুল, নিজ কল্পার আনোয়ার হোসেন।
এই তিন জন আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ময়মনসিংহের প্রথম শহীদ। ১৯৭১ সালের খাগডহর যুদ্ধে এই বীর সেনারা দেশমাতৃকার টানে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন।
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ১৫ ঘন্টার রক্তক্ষয়ী অবরোধ যুদ্ধে ১৩৮ জন সশস্ত্র পাক হানাদার বাহিনীকে হত্যা করে প্রথম বিজয় নিশ্চিত করে।এটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম বিজয়।
এই যুদ্ধে ৪ জন জনযোদ্ধা শহীদ হন।
স্বাধীনতার পর থেকে এখন অব্দি এই শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা নানা ভাবেই অবহেলিত। নিরবে চলে যায় এঁদের আত্মদানের বছর এবং দিন গুলো।
এই প্রথম বারেরমত তিন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে ছুটে যান মসিকের নব নির্বাচিত মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।
তিনি শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত করে শহীদদের প্রতি সম্মান জানান এবং পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন ও পরিবারের সদস্যদের জন্য সম্ভাব্য সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আসুন তাঁদের স্মরণ করি শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় –
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে( প্রতিরোধ যুদ্ধে)
ময়মনসিংহে প্রথম শহীদ যাঁরা
—————————+-+-+—————————–
১. তৎকালীন ইপিআর সদস্য দেলোয়ার হোসেন ( তিনি ১৯৭১ সালে ২৭ মার্চ যুদ্ধে আহত হন এবং পরদিন চিকিৎসারত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শহীদ হন)
২. শহরের গুলকিবাড়ির আবু তাহের মুকুল ( মুসলিম হাই স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র)।মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন তিনি। পরদিন অর্থাৎ ১৯৭১ সালে ২৮ মার্চ তাঁর লাশ মেলে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে।
৩. রামবাবু রোডের অজিত দত্ত ( পেশায় আইসক্রিম বিক্রেতা) তাঁর লাশ স্বজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে গ্রহণ করেন।
৪. কল্পা গ্রামের আনোয়ার হোসেন (গাড়ী চালক)।২১ দিনের কন্যাকে রেখে অবরোধ যুদ্ধে যোগ দেন তিনি। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের গাড়ি চালক ছিলেন। তাঁর নাম বাংলাদেশ গেজেটে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় থাকার পরও আজ অব্দি তাঁর পরিবার এ পর্যন্ত কোন সুযোগ সুবিধা পাননি।
এঁরা ৪ জন( ২৭ – ২৮ মার্চ) খাগডহর প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন এবং এই ৪ জন শহীদই ময়মনসিংহে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম শহীদ।