শিক্ষা

রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হোক

  প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২৪ , ১১:৪৪:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইরফানুল হাসান সাকিব সাবেক সভাপতি, ডুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি, ডুয়েট, গাজীপুর।

শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ থেকে অফিসিয়ালি আমরা মুক্ত হয়েছি মাত্র সপ্তাহখানেক হলো। কিন্তু আনঅফিসিয়ালি, অর্থাৎ প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে এখনো তার সেটআপ করা লোকগুলো রয়ে গিয়েছে। আর চাইলেও রাতারাতি তা পরিবর্তন করা সম্ভব না। কারণ ইনস্টিটিউটগুলো রান করার জন্য হুট করে বাইরে থেকে লোক এনে বসানো যাবে না।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, অনেক পক্ষই এমনভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপে ফেলতে চাচ্ছে, মনে হচ্ছে শেখ হাসিনাকেই আবার প্রয়োজন। যারা এমন দিবা স্বপ্নে বিভোর কিংবা অন্ধ হয়ে আছেন, তারা একবার নিজেকে আয়নাঘর নামক জাহান্নামে কল্পনা করুন। অথবা চিন্তা করুন তাদের কথা, যারা যুগ ধরে বাবা/সন্তান/ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছে৷ অথবা এত পিছনে না গেলেও আমাদের আবু সাইদ, মুগ্ধ, ছোট্ট পরি রিয়ার কথা একবার ভাবুন। অন্তত অমানুষ না হলে আপনি বলতে বাধ্য হবেন, “ফ্যাসিস্ট থেকে মুক্ত হওয়াটাই অনেক বড় প্রাপ্তি”

এবার প্রসঙ্গে ফিরে আসি, সরকার স্ট্যাবল না হওয়াতে বিভিন্ন জায়গায় হামলা হচ্ছে। আবার সেনা বাহিনী, রাজনৈতিক দলগুলোও চেষ্টা করে যাচ্ছে এগুলো প্রতিহত করার জন্য। কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটছে এটা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। তাই বলে সবগুলোকে ঢালাওভাবে ধর্মীয় হিসেবে চালিয়ে দেওয়া উচিত না। যার অর্থ এই নয়, রাজনৈতিক হলেই হামলা করা যাবে। এক্ষেত্রেও যারা কুকর্মে জড়িত, তাদের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপে যাওয়া উচিত। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের কিছু মিডিয়া তো কয়েকটি ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয়ও নিয়েছে যা ইতিমধ্যে বিবিসিসহ বেশকিছু মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। এই মূহুর্তে পুলিশি কার্যক্রম এখনো সচল হয় নি, তার ভিতরেই বড় বড় সমাবেশ করা হচ্ছে। আল্লাহ না করুক, এত বড় গ্যাদারিংয়ে যদি কোন দুষ্কৃতকারী হামলা চালাই এবং অনেক মানুষ হতাহত হয়, তাহলে এর দ্বায়ভার সরকারের উপর বর্তাবে যা কোন পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। তাই সরকারকেও সময় দেওয়া উচিত এ বিষয়ে। যাতে ফ্যাসিস্টরা কোন সুযোগ না পায়।

এই দেশ, আমার-আপনার সবার। একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় পুনর্গঠন হতে সময় লাগে। কিন্তু যে হারে বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে দাবী দাওয়া পেশ করা হচ্ছে এবং আল্টিমেটাম দেওয়া হচ্ছে, তা খুবই অপ্রত্যাশিত। আশাকরি, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মানের যে স্বপ্ন নিয়ে অসংখ্য নারী/পুরুষ জীবন দিয়েছে, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেও কাজ করবো এবং সরকারকেও নিজেদের জায়গা হতে সহযোগিতা করবো। পারস্পরিক বিদ্বেষ, বিভেদ ভুলে আমরাই গড়বো আগামীর বাংলাদেশ।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত