স্পোর্টস ডেস্ক ১১ আগস্ট ২০২৪ , ২:০৪:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
পাকিস্তানের মাটিতে হতে যাওয়া দুটি টেস্ট ম্যাচ সামনে রেখে আগামী ১৭ আগস্ট দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই সফরের আগে দেশের মাটিতে পা রেখে দলের সঙ্গী হওয়ার কথা ছিল তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। তবে এখন সেটি না হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি। এমনকি তাকে দলে রাখা হবে কিনা সেটি নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা।গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই সাকিবের পারফর্মেন্সে তলানিতে। ব্যাপক সমালোচনা হলেও তিনি কোনো ফরম্যাট থেকে অবসর নেননি। বরং নিজেকে যাচাই করতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে গেছেন। সেসব লিগে তার পারফরমেন্সও করুণ। চলতি মাসেই বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর আছে। সেই সফর সময়মতো হোক বা না হোক- সাকিবের জাতীয় দলে ফেরা এখন পুরোপুরি অনিশ্চিত। তিনি এবং তার স্ত্রী-সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাই দেশে ফেরার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার এখন স্পষ্টতই হুমকির মুখে। দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে বড় প্রশ্ন- সাকিব কি আর কখনো জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন?
বিসিবির দেওয়া এনওসি অনুযায়ী আগামী ১২ই আগস্ট তার এনওসির মেয়াদ শেষ হবে। এরপর তার দেশে ফেরার কথা ছিল আগামী ১৩ই আগস্ট। এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলায় সাকিব আধও দেশে ফিরবেন কিনা সেটি নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
তবে সাকিব দলে জায়গা পাবেন কিনা সেটি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। যা নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের সহকারি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘একটা প্রশ্ন হচ্ছে সাকিব আল হাসান অ্যাভেলেবল আছেন কি না আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে উনি সিলেক্টেড হচ্ছেন কি না। আমার মনে হয় সামগ্রিক পার্থক্যটা আমরা সবাই বুঝি। ওটার ওপর ডিপেন্ড করে আমরা আমাদের এক্টিভিটিস আছে সেভাবে পরিচালনা করব।’
সাকিব যদি জাতীয় দলে ফিরেনও, তাহলে সদ্য পতন হওয়া সরকারের একজন হিসেবে সতীর্থদের থেকে তিনি কি সেই মর্যাদা পাবেন? নাকি সতীর্থরা তাকে গ্রহণ করবে? আপাতদৃষ্টিতে এমন সম্ভাবনা খুবই কম মনে হচ্ছে।
একটা সময় বিশাল সংখ্যক সমর্থক ছিল সাকিবের। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তামিম ইকবালকে বাদ দেওয়াসহ নানা নাটক করায় তার সেই সমর্থন কমতে থাকে।