লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ আবু হাসান ৩ আগস্ট ২০২৪ , ৫:৩৯:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রাস্তার পানি নিষ্কাশন কাজে বাঁধা দিয়ে আইরিন আক্তার(৩৩) নামের এক গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (০২ আগষ্ট) রাতে আইরিন আক্তার বাদী হয়ে আব্দুল মজিদসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় মাঠকর্মী ও বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী এলাকার মৃত সামস উদ্দিনের পুত্র।
এর আগে ওইদিন বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। সেসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান ও স্বামীর বড় ভাই আলতাফ হোসেনকেও মারধর করা হয়।
এজাহার ও সরেজমিনে জানা যায়, অতিবৃষ্টির ফলে ভুক্তভোগী আইরিন আক্তারের বাড়ির সামনের যাতায়াতের রাস্তায় পানি জমাট বাঁধে, যাতায়াত করতে অসুবিধা হওয়ায় তিনি সেই পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা করেন, এ সময় তা দেখে অভিযুক্ত আব্দুল মজিদের ছেলে আজান শাহ সেখানে গিয়ে বাঁধা দেন, এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়, এর এক পর্যায়ে আজান শাহ তার পরিবারের সবাইকে ডেকে নিয়ে এসে আইরিনকে মেধরক মারপিট করেন। আইরিনের চিৎকারে তার স্বামী মোস্তাফিজ ও বড়ভাই আলতাফ এগিয়ে এলে তাদের ও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় মজিদ ও তার লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন।
এর পর এলাকাবাসী মজিদের বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একজনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসেন।
ওই এলাকার লাভলুসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান,মজিদ একজন হিংস্র মানুষ,সে মসজিদের কাজে বাঁধা দেয় সে নিজেকে আবু জেহেল বলে দাবী করে যা সমাজের প্রতিটি মানুষ জানে। আজকের মারধরের ঘটনা তার পূর্ব পরিকল্পিত। সে ভাড়াটিয়া নিয়ে এসে এলাকার মুরুব্বিদের মারধর করেছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এ মজিদের বিচার দাবী করছি।
হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে একটা এজাহার দায়ের করেছেন যার আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।