প্রচ্ছদ

পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রাখার দায় স্বীকার ছাত্রদল নেতার

  অপরাধ ডেস্ক ২ আগস্ট ২০২৪ , ১০:০৩:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন হত্যা মামলায় ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। 
সাত দিনের রিমান্ড চলাকালে আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তিনি সেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোরাদুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহম্মেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 
এর আগে শনিবার (২৭ জুলাই) মাসুদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।  শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার মাসুদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পুলিশের নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) পরিবারসহ মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতালের বিপরীত পাশে ভাড়াবাসায় থাকতেন।  কোটা সংস্কার অন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টায় গণভবনে সরকারি ডিউটি পালনের উদ্দেশে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে করে বাসা থেকে বের হন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের উত্তর পাশে মাসুদ রানাসহ অন্যান্য আসামিরা গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে। এরপর তাকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুরুতর আঘাতসহ রক্তাক্ত জখম করে। পরে রাস্তায় পড়ে গেলে আসামিরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে গিয়াস উদ্দিনের নাক, কান, মুখমন্ডল, গলা, হাত, বুক, পেট, ডান পায়ের হাটুর নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। 

পরে রাস্তায় পড়ে গেলে আসামিরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে গিয়াস উদ্দিনের নাক, কান, মুখমন্ডল, গলা, হাত, বুক, পেট, ডান পায়ের হাটুর নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। 

এ ঘটনায় ২৪ জুলাই নিহতের ভগ্নিপতি ফজল প্রধান যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত