বাসস ২৭ জুলাই ২০২৪ , ৯:৪৯:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
জাপানের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় রেকর্ড পরিমাণে বর্ষণের কারণে সেখান থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন সেতু ও গাড়ি ভেসে গেছে। শুক্রবার কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
জাপানের হোনশু দ্বীপের ইয়ামাগাতা এবং আকিতা অঞ্চলে ভারী বর্ষণে কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চারজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
পুলিশ এএফপি’কে জানায়, ইউজাওয়া শহরে রাস্তার কাজ চলার সময় ভূমিধসের ঘটনায় ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মাটির নিচে চাপা পড়ে। এদিকে ৮৬ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যক্তিকে সর্বশেষ আকিতা নগরীর একটি নদীর তীরে দেখা গিয়েছিল।
এদিকে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আকিতা নগরীতে একজনের লাশ পাওয়া গেছে।
ইয়ামাগাতায় স্থানীয় এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, এ প্রাকৃতিক দুর্যেগে এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে। ইয়ামাগাতায় দুটি নদী ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানে বন্যা দেখা দিয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করা হচ্ছে।
জাপান আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) শুক্রবার জানায়, ১৯৭৬ সালের পর
ইয়ামাগাতা অঞ্চলের দুটি এলাকায় ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শিনজো ৩৮৯ মিলিমিটার (১৫ ইঞ্চি) এবং সাকাতা ২৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
ভিডিও ফুটেজে বন্যার পানিতে পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনকে ভেসে যেতে দেখা যায়।
দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, কর্তৃপক্ষ দুই লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র এনএইচকে জানায়, এ দুর্যোগে কমপক্ষে ৪,০০০ মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ভারী বর্ষণের কারণে প্রায় ৩,০৬০টি পরিবার বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ইয়ামাগাতা অঞ্চলের সাকাতা এবং ইউজায় এ সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতে সর্বোচ্চ জরুরি সতর্কতা জারি করেছে।