অনলাইন ডেস্ক ২৬ জুলাই ২০২৪ , ৯:৪৩:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। কাজ করতে কোনো ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না। যাত্রীদের মধ্যেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বিমানবন্দরে এপিবিএনের এএসপি (মিডিয়া) জিয়াউর রহমান পলাশ আজ বাসসকে বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবে সব কার্যক্রম চলছে। সব ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ (সান্ধ্য আইন) জারি করে সরকার, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। এ সময় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ঢাকাসহ দেশজুড়ে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
কারফিউ চলাকালে বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার পথে বিদেশগামী যাত্রী এবং বিদেশফেরত যাত্রীদের বিমানের টিকিটই কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরপরও যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের ভয় ও শঙ্কা কাজ করেছে। তবে কারফিউ শিথিল করার ফলে তাদের মধ্যে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভয় কেটে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সেখানকার কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।
আন্দোলন চলাকালে শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে কেউ কেউ আটকা পড়েন। সেখানে তাদের কয়েক রাত অপেক্ষা করতে হয়েছে। গত ১৯ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক রুটে ১৭টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে ১৯ ও ২০ জুলাই সৌদিয়া এয়ার লাইনসের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে চারটি ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন ৪ হাজার ২০০ জন। এ সময় তাদের অনেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, আন্দোলন চলাকালে কিছু সমস্যা হয়েছিল। তবে সেগুলো আস্তে আস্তে কমে আসছে। এখন অনেকেই নির্ধারিত ফ্লাইট সময়সূচির আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছাচ্ছেন। বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। কাজ করতে কোনো ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না।