ছবি ও তথ্যঃ প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ দাসের ৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১:০৪:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
ছোট্ট ছেলের আবদার ছিল তার বাবার কাছে। ঈদে বাড়ি আসার সময় তার জন্য সাইকেল কিনে আনতে হবে। বাবা নিমতলীর পেপার দোকানের সামান্য কর্মচারী। হোক সামান্য কর্মী কিন্তু ছেলের কাছে তো বাবা রাজা। মহাপুরুষ।
ঈদের বাড়তি পরিশ্রম, বোনাস আর হয়তো কিছু সঙ্চয় মিলিয়ে ছেলের জন্য কিনেছিলেন এই গোলাপী সাইকেল। তার রাজপুত্র যখন এই সাইকেলে চড়ে সারাবাড়ি দাপিয়ে বেড়াবে বাবার কাছে এরচেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে! চালাতে চালাতে রাজপুত্র বেল বাজাবে বাবা সরে গিয়ে হাসতে হাসতে জায়গা করে দেবে। মা বিরক্ত হয়ে কপট রাগ করবে হয়তো। সন্তান হাসবে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সেই হাসিমুখ।
বাবা মা দুজনেরই একসঙ্গে দেখার কথা ছিলো প্রিয় সন্তানের সেই হাসিমুখ।
কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা সেটা চাননি বোধহয়। গতকাল ইফতার করে বাসায় ফেরার পর বুকে ব্যাথা ওঠে বাবার। তারপর স্ট্রোক। না ফেরার দেশে চলে যান বাবা।
আজ ভোর রাতের দিকে অ্যাম্বুলেন্সে ঠিকই বাসায় ফেরেন বাবা। গোলাপী সাইকেলটাও সঙ্গে। কিন্তু বাবার আর কখনোই দেখা হবে না সন্তান তার কিনে দিয়ে আসা সাইকেলে চড়ে কিভাবে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে।