আন্তর্জাতিক ডেস্ক ১৮ জুলাই ২০২৪ , ১২:২০:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দবিতে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের খবর ওঠে এসেছে বিশ্ব গণমাধ্যমে। গত কদিন ধরে চলা এ আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী সব গণমাধ্যম গুরুত্বের সঙ্গে এ বিষয়ে খবর পরিবেশন করছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরায় ‘ বাংলাদেশে চাকরি কোটা নিয়ে বিক্ষোভে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চাকরির কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে দাঙ্গা পুলিশের পাশাপাশি আধা-সামরিক বাহিনী বর্ডার গার্ড (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।
এ সময় ‘আমরা আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ বলে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়।
একই দিনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ‘কোটা বিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা, হত্যার তদন্তের নির্দেশ সরকারের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। চলমান বিক্ষোভকে ঘিরে সহিংস সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও অনেক আহতের একদিন পর বুধবার (১৭ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করার পরই বিক্ষোভ সহিংসরূপ নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘আমরা আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ বলে স্লোগানে দিতে দেখা গেছে।
এছাড়াও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের বিক্ষোভের পর কর্তৃপক্ষ বুধবার থেকে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সরকার বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করবে।
এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস ‘কোটা বিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা, হত্যার তদন্তের নির্দেশ সরকারের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। চলমান বিক্ষোভকে ঘিরে সহিংস সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও অনেক আহতের একদিন পর বুধবার (১৭ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।