স্পোর্টস ডেস্ক ১৪ জুলাই ২০২৪ , ৯:৫৬:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
একটি ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করে ডি মারিয়া সবসময় ফুটবলের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা অনুভব করত। যখন সে ছিল ছোট, তার কাছে ফুটবল ছিল জীবন। মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলে সময় কাটাত এবং প্রতিটি ম্যাচে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করত।
ডি মারিয়ার স্বপ্ন ছিল বড় ক্লাবে খেলা। সে প্রতিদিন সকালে উঠে পাড়া-মহল্লার মাঠে অনুশীলন করত। তার পিতা-মাতা তার প্রতিভার প্রতি সর্বদা সমর্থন দিতেন। তারা জানতেন, একদিন তাদের ছেলে বড় কিছু করবে।
একদিন, তার স্থানীয় ক্লাবের কোচ তার খেলা দেখে মুগ্ধ হন। তিনি ডি-মারিয়াকে ক্লাবে যোগ দিতে আহ্বান জানান। সেখানে সে কঠোর পরিশ্রম শুরু করে। প্রতিদিন প্র্যাকটিসের পর বাড়িতে ফিরে এসে, সে নতুন স্কিল শিখার চেষ্টা করত।
ডি মারিয়া তার ক্লাবে অসাধারণ পারফরম্যান্স করতে থাকে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই স্থানীয় ফুটবল লীগে খেলার সুযোগ পায়। তার দক্ষতা এবং প্রতিভা নজর কাড়তে থাকে অনেক ক্লাবের। একদিন, একটি বড় ক্লাব তাকে টাকার প্রস্তাব দেয়। এটি ছিল তার জীবনের মোড় পরিবর্তন করার সুযোগ।
বড় ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর ডি মারিয়া বুঝতে পারে, এখানে প্রতিযোগিতা আরও কঠিন। তাকে তার দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। সে প্রতিদিন অনুশীলন করতে থাকে, রাতের পর রাত কষ্ট করে খেলার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
কিছু বছর পর, ডি মারিয়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়। দেশের জার্সি পরে মাঠে নামা ছিল তার জীবনের স্বপ্ন। তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা তাকে স্বপ্ন পূরণের পথে নিয়ে যায়। সে তার দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে।
ডি মারিয়া জানে, তার সাফল্যের পিছনে তার পরিবার, বন্ধুরা এবং সমর্থকদের অবদান রয়েছে। তারা সবসময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, কঠিন সময়ে তাকে উৎসাহিত করেছে।
ডি মারিয়ার স্বপ্ন এখানেই শেষ হয়নি। সে চায় আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে, আরও বড় বড় টুর্নামেন্ট জিততে। সে জানে, পরিশ্রম ও নিষ্ঠা দিয়ে সব কিছু সম্ভব।
ডি মারিয়ার গল্প আমাদের শেখায়, সত্যিকার অর্থে নিজের স্বপ্নের পিছনে দৌড়াতে হলে কষ্ট করতে হয়। তার অধ্যবসায় ও ভালোবাসা তাকে শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড়ই নয়, বরং একজন অনুপ্রেরণার উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।