আন্তর্জাতিক

ভারি বৃষ্টি, মুম্বাইতে ‘রেড অল্যার্ট’

  আন্তজার্তিক ডেস্ক ৯ জুলাই ২০২৪ , ৫:১০:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভারি বৃষ্টি, মুম্বাইতে ‘রেড অল্যার্ট’
ছবি সংগৃহিত

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে অবিরাম বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে দেশটির বৃহত্তম নগরীর ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে ও যানজটে নগরবাসী নাকাল হচ্ছে।

সোমবার দুপুর রাত ১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাতের পর মঙ্গলবারও নগরজুড়ে ও আশপাশে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।

চারদিকে জলমগ্ন পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় কোমড় সমান পানি জমে আছে, এর মাঝদিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন মেট্রোপলিটন নগরীটির বাসিন্দারা। বহু নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে।

ভারি বৃষ্টি, মুম্বাইতে ‘রেড অল্যার্ট’

সোমবার সারাদিন ধরেই নগরীটিতে বৃষ্টি ঝড়েছে। এতে বাসিন্দাদের দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। নগরীর স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বহু স্থানে রেলপথ ডুবে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় রেলওয়ে পরিষেবা। নিচু এলাকাগুলোতে উচ্চ ক্ষমতার পাম্প বসিয়ে পানি সরানোর চেষ্টা করেও কূলকিনারা করতে পারছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বহু স্থানে লোকাল ট্রেনগুলো ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইনের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে, এতে হাজার হাজার রেলযাত্রী বিপাকে পড়েছে।

বাইরে থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসা বহু ট্রেন পথে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে আছে।

প্রবল বৃষ্টির পর নিম্ন দৃশ্যমানতার কারণে মুম্বাই বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিষেবা মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রানওয়ে বন্ধ রাখায় প্রায় ৫০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

মুম্বাইয়ের পাশাপাশি থানে, নাভি মুম্বাই, পানভেল, পুনেতে এবং রত্নাগিরি ও সিন্ধুদুর্গের গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও স্কুল-কলেজ সোমবারের পর মঙ্গলবারও বন্ধ রাখা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর মঙ্গলবার দিনভর ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়ে মুম্বাই, রত্নাগিরি, রাইগাদ, সাতারা, পুনে ও সিন্ধুদুর্গ জেলায় রেড অ্যালার্ট এবং থানে ও পালঘরে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার আগ পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মুম্বাই শহরে গড়ে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

শহরটিতে ৪০ গাছ ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে, এতে অনেকগুলো গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কারও মৃত্যু হয়নি। এর পাশাপাশি ১০টি দেয়াল ধসের ঘটনার খবর পাওয়া গেলেও এতে কেউ হতাহত হয়েছে বলে খবর হয়নি।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত