সারাদেশ

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আবারও প্লাবিত বাঘাইছড়ি উপজেলা

  রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: রকিব উদ্দিন ২ জুলাই ২০২৪ , ৪:৪৩:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আবারও প্লাবিত বাঘাইছড়ি উপজেলা
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আবারও প্লাবিত বাঘাইছড়ি উপজেলা

গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদসহ ওই এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।উপজেলা প্রশাসন থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। সবাইকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। জরুরি ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রেখেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ছোট-খাটো পাহাড় ধসে মাটি ও গাছপালা রাস্তায় পড়ে গিয়ে সড়ক ব্যবস্থার বিঘ্নতা ঘটছে। এতে বড় ধরনের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। মারিশ্যা-দিঘিনালা সড়কেও রয়েছে পাহাড় ধসের সম্ভবনা এবং মারিশ্যা-বাঘাইছড়ি থেকে অন্যান্য জেলা-উপজেলাযর সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

টানা ৪ দিনের থেমে-থেমে হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাতে এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে বাঘাইছড়ি কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঘাইছড়ি পৌরসভা সদরসহ মাষ্টার পাড়া, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, লাইল্যা ঘোনা, এফ ব্লক, উগলছড়ি ও পুরাতন মারিশ্যা গ্রামসহ উপজেলার বঙ্গলতলী, রুপকারী, মারিশ্যা, বাঘাইছড়ি, খেদারমারা, সাজেক, বাঘাইহাট, সারোয়াতলী ও আমতলী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হয়েছে এবং সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ও বাঘাইহাট এলাকায় সড়কের অংশ বিশেষ তলিয়ে যাওয়ায় সাজেক পর্যটন এলাকায় যাওয়া শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে এবং নিজ গন্তব্যে আপাতত ফিরত পারছেনা। এছাড়াও তলিয়ে গেছে চাষাবাদের অসংখ্য জমি।

বন্যায় প্লাবিত নিম্নাঞ্চলের মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্রে ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে (উচু স্থানে) আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে এবং কৃষক ও খামারীরা তাদের গবাদি পশু গুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। কোরবানি ঈদের ১-২ পরেও বন্যা হয়েছে বাঘাইছড়িতে। এটা দ্বিতীয় ধাপের বন্যা বলে স্থানীয়রা জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বাঘাইছড়ির নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কারনে ইতিমধ্যে উপজেলার সকল আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিন্মাঞ্চলের লোকদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য আহবান করা হয়েছে এবং বন্যার্তদের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রায় ২-৩ হাজার পরিবার বন্যায় কবলিত।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত