ডুয়েট প্রতিনিধি: আরমান চৌধুরী ১ জুলাই ২০২৪ , ৯:৫০:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
চলমান সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সহ সবধরণের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর । এর চলমান সেমিস্টার ফাইনাল ।
রবিবার (৩০ জুন) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সোমবার হতে সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
উক্ত সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচিসমূহ নিম্নরূপ:
১। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের আন্ডারগ্রাজ্যুয়েট ও মাস্টার্স (ফুল টাইম এবং পার্ট টাইম) এর ক্লাস বন্ধ থাকবে।
২। অনলাইন, শুক্র ও শনিবারের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রফেশনাল কোর্স সমূহের সকল ক্লাস বন্ধ থাকবে।
৩। সকল বিভাগের আন্ডারগ্রাজ্যুয়েট ও মাস্টার্স (ফুল টাইম এবং পার্ট টাইম) প্রোগ্রামের কোনো পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে না।
৪। বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ বিভাগীয় অফিস, সেমিনার রুম, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগারসমূহ বন্ধ রাখবেন। কোনোপ্রকার একাডেমিক কমিটি, সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা এবং বিভাগীয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না।
৫। বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ডিন অফিস, ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কর্যক্রম বন্ধ রাখবেন। কোনো সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না।
৬। বিভিন্ন ইন্সস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ ইন্সস্টিটিউটের অফিস, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন। মাস্টার্স (ফুল টাইম এবং পার্ট টাইম) এর ক্লাসসমূহ এবং শুক্রবার ও শনিবারের সকল ক্লাস বন্ধ থাকবে।
৭। বিভিন্ন গবেষণাধর্মী সেন্টারের পরিচালকবৃন্দ কোনোপ্রকার সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।
৮। বিভিন্ন হলের প্রভোস্টগণ প্রভোস্ট অফিস বন্ধ রাখবেন।
৯। প্রধান লাইব্রেরিয়ান কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ রাখবেন।
শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুন্নকারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপ সদৃশ বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত উক্ত সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য যে, বর্তমান চলমান সেশনের আর একটি মাত্র পরিক্ষা ছিল, কিন্তু সেটি শেষ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত চলমান ১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের সেশনজট প্রায় ৯ মাস দীর্ঘ হচ্ছে।