টেকনাফ প্রতিনিধিঃ শামসুল আলম শারেক ২০ জুন ২০২৪ , ৮:২২:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
অতিবৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় হাজার হাজার বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি-চিংড়ি ঘের ও রাস্তাঘাট স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা, মসজিদ।
১৯ জুন বুধবার রাত থেকে অতি ভারী বর্ষনের কারণে টেকনাফ উপজেলায় হ্নীলা, হোয়াইক্যং, বাহারছড়া ইউনিয়ন সহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে। প্রধান সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া,উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া,পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকার জালিয়া পাড়া অলিয়াবাদ,কায়ূকখালীপাড়া, ও টেকনাফ সদরেরর মৌলই পাড়া,হাবির ছড়া,সহ বেশ কিছু এলাকা এখন পানি বন্ধি রয়েছে। আবার বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় পাহাড় ধ্বসে পড়ে বাড়ি-ঘর মাটি চাপা পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, বুধবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলায় হাজার হাজার বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি না কমলে পানিবন্ধি হয়ে পড়বে হাজার হাজার পরিবার। বর্ষার সময় বৃষ্টি পানি যেসব খাল বা ড্রেন দিয়ে পানিচলাচল করে সে খাল গুলো ভরাত হয়ে যাওয়া পানি দ্রুত নামতে না পেরে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়। এত বৃষ্টির পানি কোনদিন দেখি নাই।
হ্নীলা ওয়াব্রাং এলাকার মাদ্রাসার শিক্ষাক মাষ্টার কামাল জানান,,বেড়িবাঁধের স্লুইস গেট বন্ধ করে রাখার ফলে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ওয়াব্রাং এলাকাসহ অনেক গ্রাম পানি বন্দী হয়ে যাচ্ছে।দ্রুত স্লুইস গেইটের পাশে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না করলে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।আরো বৃষ্টি হলে ওয়াব্রাং মৌলভীবাজার ফুলের ডেল হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান,, বেড়িবাঁধে স্লুইস গেটে উন্নয়নের কাজ চলার কারণে স্লুইস গেট বন্ধ চিল রাতে বেড়িবাঁধ গিয়ে স্লুইস গেটের পাশে বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার হয়েছে বৃষ্টি কমে গেলে পানি নাফ নদীতে চলে যাবে। তবে ভারী বর্ষন অব্যাহত রয়েছে। এপর্যন্ত কোন হতাহতে খবর পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বুধবার রাত থেকে অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নে বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি।